ঢাকাঃ শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে চলেছে একটি কুকুর, পেটে মারাত্মক ক্ষুধার যন্ত্রণা। ময়লার ভাগাড় আর ময়লার ঢিবি ঘুরেও মেলেনি একটু খাবার। হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছলছল চোখে মানুষের খাওয়ার দৃশ্য দেখে খাবারের আশায় বসে পড়ে কুকুরটি। আচমকা চা বানানোর কারিগর এক বোল ধোঁয়া ওঠা গরম পানি ছুঁড়ে দেয়।
কু কু আওয়াজ তুলে মারাত্মক যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে দৌড়াতে থাকে বোবা প্রাণীটি। এইভাবে দগ্ধ হয়ে যাওয়া চামড়ার অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে দিন যাপনের পর সব কষ্টের অবসান হয় কুকুরটির। তবে এই অবসান সম্ভব হয় মৃত্যুর মাধ্যমে।
এরকম দৃশ্য হর-হামেশাই আমাদের নজরে পড়ে। অনেকে প্রাণীগুলোকে ধারাল বস্তুর আঘাতে রক্তাক্ত করে, ভেঙে দেয় পা-এর হাড়গোড়, অনেকে তো লেজে কাপড়, পলিথিন বেঁধে আগুন ধরিয়ে দিতেও কুণ্ঠিত হয় না।
এরকম অমানবিক অত্যাচারের শিকার হয় আমাদের চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোও। তাদের ঠিকভাবে খাবার না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় বিভিন্ন অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে। অথচ এইসব অসহায় নির্যাতনের শিকার প্রাণীগুলোই দিনের পর দিন আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখছে।
লেখক: শিক্ষার্থী, চতুর্থ সেমিস্টার, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
আগামীনিউজ/এএইচ