দুটো শব্দ যেমন একটা আরেকটার সাথে জড়িত ঠিক তেমনি এরা নদীর দু পারের মতো বিপরীতে অবস্থান করে।
শখ যখন বিজনেসে পরিণত হয় সেটাকে তখন আর শখের মতো করে চালালে হবে না তাহলে এটা হিতে বিপরীত এ হয়ে যাবে।
আগে বিপরীত টাই বলি,কেমন?
যে কাজ টা আমাদের মানসিকভাবে শান্তি দেই আর যে কাজ টাতে কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই যে, "এতটার মধ্যে অফিসে যেতে হবে,এতক্ষণ এর মধ্যে কাজ কম্পলিট করতে হবে" ইত্যাদি ইত্যাদি সেটাই হচ্ছে "শখ"। আপনি যখন ইচ্ছা তখন কাজটি করতে পারবেন কোনো রকম প্রেসার আর টাইম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া। যে কাজ টা আপনাকে একটি টাইম ম্যানেজমেন্ট মেইনটেইন করে করতে হয় আর যে কাজ টা কমপ্লিট করার একটা চাপ মাথায় থাকে সেটাই হলো "বিজনেস"। বিজনেসে ক্লাইন্টের সকল আবদার পূরণ করার একটি প্রেসার মাথায় থাকে যেটার কারণে অনেক উদ্যোক্তাকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। ক্লাইন্ট ও উদ্যোক্তার মধ্যে সম্পর্ক টাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট। ক্লাইন্ট যদি আমার মতো লক্ষী আর উদ্যোক্তা যদি সানজিদা আপুর মতো ব্রড মাইন্ডেড এবং সেরা হয় তাহলে তো আর কোনো কথা ই নাই।
আপু আর আমি তো জাস্ট একটা উদাহরণ কিন্তু সব উদ্যোক্তা এবং ক্লাইন্টের মধ্যে সম্পর্ক টা যদি বোঝাপড়ার হয় তাহলে উপরের যে প্রেসার টার কথা বললাম সেটা আর উদ্যোক্তার মাথায় থাকে না। কারণ ওনার এটা মাথায় থাকবে যে আমার ক্লাইন্ট তো আমাকে বুঝে শুনেই কাজ টা দিসে তাই সে টেনশন ফ্রী হয়ে কাজ টা করতে পারে।
কিন্তু কিন্তু কিন্তু.....
তার মানে এই না যে দুজন ই এই বোঝাপড়ার সম্পর্কটার অপব্যবহার করবে।
একটা উদাহরণ দিই তাহলে জিনিসটা ক্লিয়ার হবে আশা করি- একটি ক্লাইন্ট যখন তার উদ্যোক্তার কাছে অন্যায় আবদার করবে যে," আপু আমি তো আপনার পুরাতন কাস্টমার,আমার থেকে দাম টা কম রাখিয়েন"। এটাকেই অন্যায় আবদার বলে। ক্লাইন্টের এটা মাথায় রাখা উচিত যে আপু বা ভাইয়া টা তাদের সর্বোচ্চ পরিশ্রমটুকু দিয়ে কাজটা করছে তাই এসব আবদার করা ঠিক হচ্ছে না।
ঠিক একই ভাবে উদ্যোক্তার ও এই সম্পর্ককে ফর গ্রান্টেড নিয়ে ইচ্ছামতো সময় নিয়ে কাজ করা টা অন্যায় তাই দু'জন এর ই সম্পর্ক টাকে যথার্থ মর্যাদা দেওয়া উচিত। এবার কিভাবে জড়িত সেটা বলি। কিছু কিছু বিজনেস আছে যেগুলো করতে একঘেয়েমি লাগে, কাজ টা করতে আর ভালো লাগে না। যেসব কাজের সাথে শুধু কাজ ই জড়িত,আগে পিছে কোনো সম্পর্ক থাকে না আর সম্পূর্ণ নতুন থাকে সেসব কাজ করতেই একঘেয়ে লাগে।কিন্তু যে বিজনেস টা শখ থেকে আসে সে কাজ টা করতে একটা আলাদা কনফিডেন্স আর শান্তি লাগে। কারণ বিজনেস টা সম্পর্কে উদ্যোক্তার আগে থেকে আইডিয়া থাকে তাই কোনো কনফিউশন এর শিকার হতে হয় না।
সেজন্যেই বলা হয় দুটো জিনিস এর মধ্যে যেমন ভালো দিক আছে ঠিক তেমন খারাপ দিক ও আছে।আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কোন পথ টা ধরে আগাবো।
আগামীনিউজ/জেএস