Dr. Neem on Daraz
Victory Day
ড.নিম হাকিমের ভাবনা (দেশ ও বিশ্ব )

রাজনৈতিক মতবাদ ও শ্রম-শোষণ


আগামী নিউজ | ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: মে ৬, ২০২০, ১২:২৭ এএম
রাজনৈতিক মতবাদ ও শ্রম-শোষণ

প্রচলিত গণতন্ত্র ফ্যাসিবাদ থেকে আলাদা একথা ভেবে এক মুহূর্তের জন্যও প্রতারিত হওয়া উচিত নয়। বস্তুত একনায়কতন্ত্র হোক কিংবা বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হোক এ সব ক'টির মধ্যেই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। এসবের লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্যও অভিন্ন। এদিক লক্ষ্য করেই আল্লামা ইকবাল বলেছেন, “পশ্চিমা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেই পুরানো বাদ্য যন্ত্র, যার আড়ালে সিজারীয় ধ্বনী ছাড়া আর কিছুই নেই,গণতন্ত্রের পোষাকে শোষণের দানব, ক্রোধ ভরা পা ফেলছে, ভেবেছো এটা আযাদীর নীল কান্ত মনি! গণপরিষদ, সংস্কার, অনুগ্রহ, অধিকার এসব পশ্চিমা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ঘুম পাড়ানো সুস্বাদু মিষ্টি। শান্তি পরিষদগুলোতে গরম গরম কথা মালা এটা ও পুঁজি পতিদের সম্পদ লাভের এক প্রকার যুদ্ধ, রূপ ও গন্ধের এই মরিচীকাকে, তুমি উদ্যান ভেবেছো, আফসোস হে অজ্ঞ! পিঞ্জিরাকে তুমি নীড় ভেবেছে”।

বস্তুত জার্মানির নাজিবাদ, ইটালীর ফ্যাসিবাদ, মার্কিনী গণতন্ত্র, ব্রিটিশ গণতান্ত্রিক রাজতন্ত্র এবং জাপানের রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা এসব একই পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিভিন্ন নামমাত্র অথবা একই তেলের বিভিন্ন রং বলা যেতে পারে।প্রচলিত গণতন্ত্র হলো সাধারণ মানুষকে শোষণ করার একটি সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা।

প্রাচীনকালের রাজতন্ত্রে এক ব্যক্তির শোষণের আধুনিক সংস্করণই হলো গণতন্ত্রের নামে দলীয়করণের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টায় শোষণের নবতর কৌশল। শ্রেণি সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তি অধিকার হরণ, যা মানুষের পুঁজিবাদের স্বার্থে সাধারণ মানুষের সার্বিক কল্যাণে এ ব্যবস্থা মোটেও কার্যকর নয় বরং ব্যবস্থার জন্য বিশ্বের সংখ্যা গরিষ্ঠ মেহনতি মানুষ আজ দারিদ্র্যের শিকার।

পুঁজিবাদী এ ব্যবস্থায় দুটি শ্রেণির জন্ম হয়েছে, তা হলো ধনী ও দরিদ্র। ধনীরা শোষকের ভূমিকায় এবং দরিদ্ররা শোষিতের ভূমিকায় রয়েছে। শোষিত বা দুর্বলের উপর চলছে শোষক বা সবল শ্রেণির অত্যাচার। মৌলিক চাহিদার উপকরণ ছাড়াও পুঁজিবাদী বিশ্ব জীবনো পকরণে এমন কিছু অপ্রয়োজনীয় নতুন নতুন আইটেম সংযোজন করেছে, যা মানুষের জীবনযাপনের ব্যয়ভার আরও বাড়িয়ে তুলছে। তাদের জীবনযাত্রা হচ্ছে আরও বিষময়।পুঁজিবাদী বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বদৌলতে আমরা যদি সামাজিক দর্শন ও মানুষের কর্ম বিকাশের বৃহত্তর উদ্দেশ্য বিশ্বভ্রাতৃত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে সূক্ষ্মভাবে অধ্যয়ন করি তাহলে আমরা অনুধাবন করতে পারবো যে, ধোকা ও প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। প্রকৃত পক্ষে এই ব্যবস্থাই বিভিন্ন জাতির মধ্যে শক্রতা ও শোষণের গোড়াপত্তন করেছে। এই ব্যবস্থাই স্বয়ং নিজ দেশের সাধারণ মানুষকে বিশেষ
কয়েকজন পুজিপতিরে দাসে পরিণত করে।

এই ব্যবস্থাই অর্থনৈতিক উন্নতির নামে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে অতৃপ্ততা, স্বার্থপরতা ও মার্জিত ডাকাতি করছে। কার্ল মার্কসের সমাজতান্ত্রিক মতবাদ হলো মালিক ও শ্রমিক কিংবা পুজিপতি ও মেহনতি মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কলহের ফলশ্রতি। আজ একদিকে শোষক ও শোষিত শ্রেণি সৃষ্টি হওয়ার ফলে শ্রেণি সংগ্রামের রূপ পরিগ্রহ করছে অপরদিকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের উত্থান- পতনও এসব স্বার্থপর পুঁজিবাদীদের হাতে কাঠের পুতুলের মত নড়াচড়া করতে দেখা যাচ্ছে।

কৃষি ব্যবস্থা থেকে আমরা যদি মিল-কারখানার দিকে তাকাই তাহলে দেখবো, শিল্প ও কারিগরি বিষয় মানুষের হাত থেকে যন্ত্রদানবের হাতে চলে যাওয়ার পর পুঁজিপতিদের জন্যে স্বর্গের দরজা খুলে গেছে। তারা শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করে দরিদ্র, মজদুর ও মেহনতি মানুষের উপর প্রভূত্ব শুরু করেছে। শ্রমিকদের জানমাল, ইজ্জতের কর্তা ও ভাগ্য বিধাতা সেজে বসেছে। মানুষকে দাস নয় বরং পশুর ন্যায় নিজেদের স্বার্থের বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে বলি দিতে আরম্ভ করেছে। তারা মনে করে অনুগ্রহ হিসেবেই শ্রমিককে সাহায্য করছে, মূলত: শ্রমের কোন পারিতোষিক নেই। তার অজ্ঞতাই প্রকৃতির মেজাজ বিগড়ে দিয়েছে। ধীরে ধীরে ক্রোধান্বিত হয়ে চলেছে, ভাগ্য নির্ধারণের দিন সোনা-রূপায়ও সন্তুষ্ট ছিল না, তাই তাকে শ্রমিক, মজদুর, কৃষক ও ঝাড়ুদার হতে হয়েছে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এই যে, সভ্যযুগের স্রষ্টারা, যারা দাসত্বকে অভিশাপ মনে করেন এবং এর বিরুদ্ধে লম্বা বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান, তারাও অর্থনৈতিক দাসত্বের এই ফাঁদকে বৈধ মনে করছেন। শুধু তাই নয়, তারা নিজেদের রাষ্ট্রীয় রাজ্য ক্ষমতার উন্নতির জন্য এই ঘৃণ্য পুঁজিবাদকে উত্তম মাধ্যম বলে মনে করেন। এজন্য তারা এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন এবং পুঁজিপতিদের এই ফাদের গ্রন্থিগুলো আইনের মাধ্যমে মজবুত করতে থাকেন।

এসব গ্রন্থির সৌন্দর্য আরও দর্শনীয় হয়ে উঠে যখন তার বৈধতার জন্য ধর্মের নামে ভ্রান্ত সমর্থনও এসে যোগ হয়। অধিক শ্রম, সে তুলনায় কম পারিশ্রমিক এবং সাধারণ মানবাধিকার থেকে বঞ্চনার ফলে শ্রমিকদের অবস্থা যে, কিরূপ দুর্বিসহ রূপ ধারণ করে তা দেখতে হলে শিল্পএলাকাগুলোতে যান। সেসব স্থানে গিয়ে প্রথমে মালিকদের পুষ্পপল্লবিত কুঠির এবং স্বর্গের মত বাংলোগুলোর দিকে একবার দৃষ্টিপাত করুন। এরপর যান নোংরা শ্রমিক কলোনিগুলোতে,দেখতে পাবেন ভেড়ার পালের মত কিরূপ গাদাগাদি করে তারা বসবাস করছে। কিন্তু প্রকৃতির অমোঘ বিধান কখনও প্রতিশোধ না নিয়ে ছাড়ে না। শেষ পর্যন্ত শ্রমিক-মালিক দ্বন্দ্বের যে অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠছে তা একদিন পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে ছাইভষ্মে পরিণত করবে, তাতে করে একটি প্রাচীন অথচ ন্যায়-নীতি ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরিবেশ গড়ে উঠবে।


শ্রমিকদের পুজিবাদী ব্যবস্থার ফাঁদে ফেলার যতগুলো গ্রন্থি আছে তারমধ্যে গুরুত্ব দুটি গ্রন্থি হলো- (১) কম মুজুরী প্রকৃত পক্ষে তারা সর্বহারা, গরিব, নিরোপায় ও ক্ষুধার্ত। এজন্যই তারা পেট ভরে খেতে পারে না, শরীর ও পেটের জন্যই তারা দুর্বল। অপরদিকে এই পরিস্থিতিতে পুঁজিপতিরা আনন্দিত। তারা কোন প্রমিকের উপর জবরদস্তি করছে না বরং শ্রমিকই ইচ্ছায় কাজ করতে এগিয়ে আসে । কারণ, শ্রমিক বেশ ভালো করেই জানে যে, সে যদি কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে রাজি না হয় তাহলে ক্ষুধার দরুন মৃত্যু তার অবধারিত তাছাড়া অন্য শ্রমিক তার চেয়েও দুরাবস্থায় আছে, এজন্য সে তার চেয়েও কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে এগিয়ে
আসবে।

(২) ন্যনতম মজুরী দ্বারা সর্বাধিক কাজ আদায় করা। এটাও তারা মনে করে যে, তার দীনতা ও দুরাবস্থা বরং ক্ষুধার্ততার জন্যই দয়া গ্রহণ করে এবং অসহায়তার উপর অশ্রুপাত করে। নয়-দশ ঘন্টা বা তার চেয়েও অধিক সময় কাজ করে পুঁজিপতিদের সন্তুষ্ট করে থাকে। সে করবেইবা না কেন, আগের দিনে তারা হাতে কাজ করতো,ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হস্ত ও কুটির শিল্পে অজস্র বেকার লোকের কর্মসংস্থান হতো। আজ যন্ত্র শিল্প-শ্রমিকদের স্থান দখল করেছে। যন্ত্র শিল্পের সাথে হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে। এখন অল্প শ্রমিক দিয়ে অধিক উৎপাদন করা যায় ফলে শ্রমশক্তি অকেজো হয়ে পড়ছে। অথচ এই বিপুল জনশক্তি কাজে লাগিয়ে কিভাবে স্বনির্ভরতা অর্জন করা যায় সে দিকে নজর দেয়া হচ্ছে না। তাই বেকারত্ব আজ দরিদ্র জাতির কাছে বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে।

শুধু শ্রমিকরাই যে বেকার তা নয়, যান্ত্রিক চাষ অনেক বর্গা ও ভাগ চাষীকেও বেকার করছে। এখন যান্ত্রিক উপায়ে স্বল্প সময়ে অধিক জমি চাষাবাদ করা যায়। ফলে,জমিদার বা ধনিক চাষী যাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি অন্যরা বর্গা চাষ করতো তা এখন নিজেরাই চাষাবাদ করে।

এভাবে চাষবাস হাতছাড়া হয়ে বগাঁ চাষীরা হয়ে যায় দিনমজুর। চরম আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয় তারা। অপরদিকে ধনী কৃষক অধিক জমি অল্প সময়ে চাষ করে সামান্য পরিশ্রমে প্রচুর ফসল তুলে নেয় ঘরে। অর্থাৎআধুনিক প্রযুক্তির ফলে দরিদ্রদের থেকে ধনীরাই হচ্ছে বেশি লাভবান। এভাবেই পুজিবাদী বিশ্বে প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের কাছে আর্শিবাদ না হয়ে অভিশাপ হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। দরিদ্র কৃষকেরা নিজেরাই ছিল বীজের মালিক। আধুনিক প্রযুক্তির ফলে বীজের মালিকানা কৃষকের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, ফলে উচ্চ মূল্যে সার, কীটনাশক আর বীজ কিনতে হচ্ছে প্রযুক্তির উদ্ভাবকের কাছ থেকে। এতে করে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণে। কৃষক, শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ দিন দিন এভাবেই দাসেপরিণত হচ্ছে।


সভ্যতার উন্নতির জন্য প্রযুক্তির প্রভাব অবশ্য অস্বীকার করা যায় না। এতে আর এখন সন্দেহ থাকার কথা নয়। অভাব-অনটন আর চরম দারিদ্রের করণে মেহনতী মানুষ যাতে বিপ্লবে অবর্তীণ না হয়, সেজন্য তৃতীয় বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুজিবাদী বিশ্বের মদদপুষ্ট কিছু সংস্থা সেবার নামে শোষণের হাতিয়ার নিয়ে গুণকদেছে বিপ্লন ঠেকানোর কার্যক্রম।

সামাজিক দল নাম দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শরী করে তাদের বিপ্লবী চেতনার অবকাশ দিচ্ছে না। অথাৎ তাতে কোন অবস্থায়ই চরম দারিদ্র্য আর অনাহারের শিকার হয়ে বিপুল না হয়। শুধু বাঁচিয়ে রাখা হবে বাড়তে দেয়া যাবে না এই যেন তাদের নীতি। দরিদ্রের এমন কোন সম্পদ নেই, যা দিয়ে সম্পদ আরও বৃদ্ধি করবে তাই পুজিপতিদের সম্পদ বৃদ্ধি বড় সহায়কের ভূমিকা তারা পালন করে থাকে। মোট কথা মেহনতি মানুষের শ্রমই পুজিপতিদের মূলধন বাড়ানোর বড় উপাদান। এই সব পুজিপতিরা আন্তর্জাতিকভাবে এমনই সংঘবদ্ধ যে, কখন ও যদি অধিকারের প্রশ্নে দরিদ্র বিশ্বের মেহনতী মানুষ সংগ্রামে নামে তবে পুঁজিবাদীদের গড়া এ সব দরিদ্র দেশের পুতুল সরকারকে দিয়ে বিদ্রোহ থামানোর অজুহাতে চালায় দমন, নির্যাতন আর নিপীড়ন।

এমনকি বিভিন্ন ধরনের দমনমূলক কালাকানুনও জারী করার ইতিহাস রয়েছে। এখনও যদি গণ-অসন্তোষ ভয়াবহ রুপ ধারণ করে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে এই সব পুজিবাদীরা কৌশল পরিবর্তন করে তাদের গড়া পুতুল সরকারকে অসহায় অবস্থায় ফেলে বরং তার পরিবর্তনে জনগণকে সহায়তা করে নিজেদেরকে জনগণের বন্ধু বলে প্রমাণ করার প্রয়াস চালায়। আসল কথা হলো,সরকার যে দলেরই হোক পুজিবাদীদের শোষণ মূলক কার্যক্রম বলবৎ থাকলেই হলো।


এছাড়াও দরিদ্র বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক দল পুঁজিপতিদের অর্থেই পরিচালিত হয় ফলে এসব দল মতায় এলে তাদের উপর পুজিপতিদের প্রভাব থাকাই স্বাভাবিক। বিভিন্ন দলের মধ্যে পারস্পরিক আত্মকলহ সৃষ্টি করে রাখা সম্প্রসারণবাদী ও নয় উপনিবেশবাদীদের একটি রাজনৈতিক কৌশল। এতে করে জাতীয় চেতনা বিনষ্ট হয়,দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত মানুষ সাহায্য পেয়ে কর্মবিমুখ ও নিষ্ক্রীয় হয়ে পড়ে।


দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন এসব তারা ভুলে যায়। অপরদিকে দরিদ্র দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের পাণ্ডিত্যের প্রচার নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তাছাড়া তারাও নিরপেক্ষ জনদরদী নয়। কোন না কোন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ততীয় বিশ্বের অনেক রাজনীতিবিদ পুঁজি নিয়ে রাজনীতিতে নামেন। তারা অন্যান্য ব্যবসার মত রাজনীতি ও ব্যবসা মানে করে থাকেন। আর এ ব্যবসার লাভ দ্বি-মুখী, একদিকে দুনীর্তির মাধ্যমে অর্থ আয় অপরদিকে ক্ষমতা। অর্থ আর ক্ষমতাই তাদের উদ্দেশ্য। মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাই অনেক দরিদ্র দেশেই রাষ্ট্রনায়কের পতনের পর তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক কেলেংকারীর ঘটনা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করছে। পুঁজিবাদী ধ্যান-ধারণা সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয় করার জন্য তারা যেসব পন্থা অবলম্বন করছে। তার মধ্যে দরিদ্র মানুষের ধর্মান্তকরণও অন্যতম।

কারণ,এমন অনেক ধর্ম আছে যা অধিক মুনাফা, সুদ, মজুদধারী, ঘুষসহ সকল প্রকার জুলুম নিষিদ্ধ করেছে। তাই এ সকল ধর্মের দরিদ্র মানুষকে তারা হয় ধর্মান্তকরণ, না হয় ধর্মত্যাগে বাধ্য করে। ধর্মান্তকরণের মূল উদ্দেশ্য হল পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ধ্যানধারণায় বিশ্বাস করানো। দরিদ্র জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, উপজাতি বা ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞরা এদের
প্রধান শিকার।

আগামী নিউজ/নাঈম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে