Dr. Neem on Daraz
Victory Day

অপরাজিতই থেকে গেলেন মুশফিক, ৩৬৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ


আগামী নিউজ | ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২২, ০১:৫৬ পিএম
অপরাজিতই থেকে গেলেন মুশফিক, ৩৬৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ

ঢাকাঃ শেষ ব্যাটার এবাদত হোসেনকে নিয়ে চেষ্টার কোন কমতি রাখেননি মুশফিকুর রহিম। ৫৬ বলে এই দ'জনের ১৬ রানের পার্টনারশিপ ভক্তদের আশার পালে হাওয়া দিচ্ছিল বেশ। তবে দূর্ভাগ্য মুশফিকের, কাছাকাছি গিয়েও ছোঁয়া হলো না ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এবাদত রান আউটের কবলে পড়লে ৩৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

মিরপুরে দ্বিতীয় দিনের সকালটা নিজেদের বলতেই পারে শ্রীলঙ্কা। ২৮ ওভার বল করে ৮৪ রান দিয়েছে। বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসটা সমাপ্তির পথে দাঁড় করিয়ে দেয় তারা। তার পরেও পুরোপুরি স্বস্তি পেতে দেয়নি স্বাগতিক দল। বিশেষ করে লাঞ্চ ব্রেকের আগে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ১৭১ রানের ইনিংসে খেলে বাধা হয়ে ছিলেন। বিরতির পর ফিরে রান তুলতে থাকলেও সঙ্গী এবাদত টিকে থাকতে পারলেন। দ্রুত রান নেওয়ার তাড়া রান আউট হতেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। মুশফিকুর রহিম অবশ্য ৩৫৫ বলে ১৭৫ রানের নিখুঁত টেস্ট ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকেছেন।

টস জিতলেও বাংলাদেশের প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা ছিল বিব্রতকর। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায় লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে। যে লড়াই আবার ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছে বিশ্বরেকর্ডও। দ্বিতীয় দিন অবিচ্ছিন্ন থেকেই খেলতে নামে এই জুটি। ৫ উইকেটে ২৭৭ রানে দিন শুরুর পর মাত্র ৭ ওভার স্থায়ী ছিল তা। যোগ করে আর ১৯ রান। ৯২.১ ওভারে লিটন দাসকে ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙেছেন কাসুন রাজিথা। অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে তালুবন্দি হন লিটন। কয়েকবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটার অবশেষে ফেরেন ২৪৬ বলে ১৪১ রান করে। তাতে ছিল ১৬টি চার ও ১টি ছয়ের মার।

ষষ্ঠ উইকেটে লিটন-মুশফিক জুটি বাংলাদেশের সেরা তো অবশ্যই। কিন্তু ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট হারানো কোনও দলের ষষ্ঠ উইকেটে শতরান ছাড়ানো জুটি এটাই প্রথম। লিটনের বিদায়ের আগ পর্যন্ত ২৭২ রান যোগ করেছে এই পার্টনারশিপ। এই জুটিতে ভর করেই সুবিধাজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে বাংলাদেশ। রাজিথা একই ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনকে শূন্য রানে ফেরালেও মুশফিক ঠিকই নিজের ইনিংসটাকে দেড়শো পার করে ছেড়েছেন।

অবশ্য লিটন-মোসাদ্দেক আউট হওয়ার পর দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে তাতে বাধা হয়ে থেকেছেন মুশফিক। তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রান যোগ করেন তিনি। ১৫ রান করা তাইজুলকে শর্ট বলের ফাঁদে ফেলে এই প্রতিরোধ ভাঙেন আসিথা ফার্নান্ডো। ৩৭ বলের ইনিংসে ২টি চার মারা তাইজুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। তার পর দ্রুত খালেদ আহমেদকেও গ্লাভসবন্দি করান লঙ্কান এই পেসার। তার পর মুশফিক প্রান্ত আগলে থাকলেও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে আর অগ্রসর হতে পারেননি।

লঙ্কানদের সেরা বোলার ছিলেন দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্ডো। রাজিথা ৬৪ রানে নিয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট। আসিথা ৯৩ রানে নেন ৪টি। প্রবীণ জয়াবিক্রমা ৩৮ ওভার বল করলেও উইকেট পাননি কোনও।

এমবুইউ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে