Dr. Neem on Daraz
Victory Day

করোনায় প্রকৃত যোদ্ধা তরুণরা!


আগামী নিউজ | কামরুল হাসান শিশির প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২০, ০৬:১৭ পিএম
করোনায় প্রকৃত যোদ্ধা তরুণরা!

ঢাকা: বাংলাদেশে করোনার প্রথম ধরা পরে মার্চের ৮ তারিখ।  করোনাভাইরাসের ব্যাপকতা থেকে বাঁচতে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেন, সবাইকে ঘরে থাকার জন্য। এরপর থেকেই দেশের প্রায় সবাই ঘরবন্দী। এতে উচ্চবিত্তরা তাদের প্রয়োজনীয় খাবার মজুদ করতে পারলেও অর্থ সংকট ও খাদ্য সংকটে পরেছে নিম্নবিত্ত, দিন মজুর ও হতদরিদ্র শ্রেণির লোকজন।

সরকারের পক্ষ থেকে খাবার ও ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস দিলেও তার পুরোপুরি সুফল পাচ্ছে না সমাজের এ শ্রেণির মানুষ। দায়িত্ব স্বেচ্ছায় নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছে দেশের তরুণ সমাজ। নিজের পকেট থেকে যে যা পেরেছেন তাই দিয়েছেন। এরপর  সমাজের মানুষের জন্য তাদের দু'হাত পেতে দিয়েছেন তাদেরই পরিচিত বা অপরিচিত লোকদের হাতে। কারণ একটাই, তারা এ সমাজটাকে ও দেশটাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন।

ঢাকায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ও তাদের বন্ধুরা গ্রুপে গ্রুপে ভাগ হয়ে পরিচিতদের কাছ থেকে তুলছেন নগদ টাকা ও নিত্য পণ্যসামগ্রী। তার পর নগদ টাকা দিয়ে চাল, ডাল, পিয়াজ, তেল, লবন সহো বিভিন্ন সামগ্রী কিনে ছোটো ছোটো প্যাকেট করে কোনো একটি স্পটে বা বাসায় বাসায় যেয়ে তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন।

আর যে সকল তরুণ নাড়ীর টানে বা বাবা-মায়ের চাপে গ্রামে পাড়ি জমিয়েছেন তারাও বসে নেই। গ্রামেই গড়ে তুলেছেন দরিদ্রদের জন্য সহায়তা ক্যাম্প। তারাও বিত্তবানদের কাছে হাত পেতে সেই অর্থ দিয়ে সহায়তা করছেন সমাজের নিম্নবিত্তদের।

ঢাকায় এরকমই একদল তরুণদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট কাউন্সিল। কাউন্সিলের সভাপতি আশিক স্বপন আগামীনিউজ ডটকমকে বলেন, 'এখন যদিও আমরা একটা ঝুকিপূর্ণ সময় অতিক্রম করছি তারপরেও  আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এ কাজটা করছি। আমরা ইতিমধ্যে মিরপুরের ১৫০ টি পরিবারকে (আগামী এক সপ্তাহের নিত্য প্রয়োজনীয় ৯টি পণ্য) তাদের ঘরে এ ধরনের সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। আমরা এর মধ্যে এমন কিছু পরিবারকে এ সহায়তা করেছি যারা কিনা লোক লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারে না, গোপনে তাদের ঘরে আমরা এ সহায়তা পৌছে দিয়েছি।'

এরকম সংগঠিত অনেকগুলো ছাত্রদের গ্রুপ আছে যারা অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সংশপ্তক, ট্রিটমেন্ট ফর কমিউনিটি, মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্ট ওয়েব, ঢাকা। এর বাইরেও অনেকে নিজ উদ্যোগে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, এ রকম ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় যে ভাবে আমাদের তরুণরা কাজ করে যাচ্ছে তাতে তারাও ঝুঁকির মধ্যে পরে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তাদেরও সচেতন হতে হবে।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় প্রধান সাইফ উল্লাহ মুন্সি বলেন, যেহেতু এ ভাইরাস অদৃশ্য তাই সচেতনতা ও প্রপার প্রটেকশন খুবই জরুরি। আমাদের তরুণরা খুবই সচেতন, আশা করবো তারা আরো সচেতনতা অবলম্বন করবে।

আগামী নিউজ/কামরুল/ডলি/নাঈম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে