Dr. Neem on Daraz
Victory Day

লালনগীতির প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৮৪


আগামী নিউজ | সাঁঈজি সিরাজ সাঁঈ  প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৮:৪২ এএম
লালনগীতির প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৮৪

রাসূল রাসূল বলে ডাকি।
রাসূল নাম নিলে বড় সুখে থাকি॥
মক্কায় যেয়ে হজ্ব করিয়ে
রাসুলের রূপ নাহি দেখি
মদিনাতে যেয়ে রাসূল
মরেছে তার রওজা দেখি॥
হায়াতুল মুরসালিন বলে
কোরানেতে লেখা দেখি
দীনের রাসূল মারা গেলে
কেমন করে দুনিয়ায় থাকি॥
কুল গেল কলঙ্ক হ’ল
আর কিবা আছে বাকি
দরবেশ সিরাজ সাঁই কয় অবোধ লালন
রাসূল চিনলে আখের পাবি॥

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা: রাসুল কোনো ব্যক্তির নাম নয়। রাসুল একটা পদ্ধতি বা স্টেজের নাম। আরবের মোহাম্মদ (সাঃ)-কে কেবল রাসুল হিসেবে মানলে রাসুলের আর কোনো সাক্ষাৎ হবে না। কারণ আরবের সেই রাসুলের রওজা মদিনাতে পাওয়া যায়।

কোরআনে রাসুলকে হায়াতুল মুরসালিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি চির জীবিত শক্তি। প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিই পৃথিবীতে রাসুল বা পদ্ধতি দাতা। তার প্রজ্ঞাময় সাধনার শক্তির দ্বারা পৃথিবীতে সময়ের প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত দেন বা নতুন নতুন নিয়ম নীতি প্রচলন করেন। রাসুল অর্থই চির কল্যাণকর বা চিরজীবিত পদ্ধতি। সময়ের সাথে সাথে বা ব্যক্তি বিশেষের কারণে নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই সেই নিয়মনীতির প্রচলনকারীর মৃত্যু হয় না। কোনো একজন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির দেহগত প্রস্থান হতে পারে কিন্তু তার চির শক্তিময় দর্শনের কোনো মৃত্যু বা প্রস্থান নেই।

তাই সিরাজ সাঁই বলেন, প্রজ্ঞাবান সাধনার শক্তির দ্বারা রাসুলকে চিনলে সারাজীবন রাসুলের শক্তিতে নিজেকে শক্তিশালী করা যায়। এই প্রকার প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির রাসুল বা পদ্ধতি শক্তির কোনো অবস্থাতেই মৃত্যু নেই। তাই রাসুলের মধ্যেই তার অবস্থান এবং রাসুলের দেয়া পদ্ধতির মাধ্যমেই সে নিজের মধ্যে রাসুলের শক্তি বা প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠা করে।

০৬-০৬-২০১৭ 

রাত: ১০:০০

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে