Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৩১


আগামী নিউজ | সাঁঈজি সিরাজ সাঁঈ প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২১, ১২:২১ পিএম
মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৩১

মলয়া সংগীতের জনক, মরমী সাধক, কবি, বাউল ও সমাজ সংস্কারক মনমোহন দত্ত। ছবিঃ সংগৃহীত

ওহে আমার প্রাণের হরি
এই করে দাও আমারে।
হৃদয়ে তোমারে দেখি, হরিষত হয়ে থাকি,
হয়ে গিয়ে মাখামাখি, অনন্দ ভরে।
তুমি আমার প্রাণে প্রাণ মিশে যাও শুদ্ধ মিলনে,
কাজ নাই আমার তুচ্ছ ধনে পাইলে তোমারে।
সবখানা মন কুড়াইয়ে, তোমার শ্রী পদে দিয়ে,
মনোমোহন নিশ্চিত হয়ে থাকুক অন্তরে।

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যঃ
মানুষ আজীবন তার বিধাতাকে ডাকাডাকি করে এবং বিভিন্ন জাতীয় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। কিন্তু বাস্তবতা এই যে, তার সেই মনের মানুষের সাক্ষাত সে কখনো পায় না। আজীবন কেবল ডাকাডাকিই সার হয়। তাঁকে যেমন সাক্ষাত পায় না। এমনকি অনুভবও করে না। তার মূল কারণ তাকে পাওয়ার যে উপকরণ ব্যবহার করে তার পুরোটাই কেবল বস্তু ভিত্তিক। তার মধ্যকার সত্ত্বাকে পাওয়ার জন্য কোন প্রার্থনার প্রয়োজন নেই। কেবল শুদ্ধ প্রেম জাগ্রত করতে পারলেই মনের মধ্যকার সেই শক্তির সাক্ষাত মেলে এবং তার সাথে মাখা-মাখি করা যায়। তখন আর অনুমানের কোন কর্ম থাকে না। নিজের অন্তরের শক্তি পাওয়ার আগে মন কেবল বাইরের মনি-মুক্তা কামিনী কাঞ্চনে রত থাকতো। বস্তুগত সম্পদ অর্জনের পরও মন সর্বদা দুঃখে নিপতিত ছিল। মনের মধ্যে এক সেকেন্ডের জন্যও প্রশান্তি ছিল না। সে কারণে আর বস্তুর প্রতি মনকে ধাবিত না করে মনকে স্থায়ীভাবে অন্তরের মধ্যকার যে শক্তি আছে সেই শক্তিতে সমর্পণ করায় প্রজ্ঞাবন সত্ত্বার একান্ত কামনা।

মনকে পৃথিবীর সকল বস্তু থেকে সরিয়ে কেবলমাত্র নিজ অন্তরের সত্ত্বার সাথে একাকার করার প্রেম জাগ্রত করতে পারলে আর কোন দুঃখ বোধ থাকবে না। মন তখন প্রকৃত রত্নের সন্ধান পাবে এবং সেই সত্ত্বার সাথে একাকার হয়ে মিশে গেলে আর নিজের মনের আজন্ম দুঃখ বোধ থাকবে না। তার আজন্ম দুঃখের সাগরে মন যে হাবুডুবু খাচ্ছে তার অবসান হয়ে দেহমন প্রশান্তিতে তার নিজের অন্তরের আপন সত্ত্বার সাথে একাকার হয়ে মিশে থাকবে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে