Dr. Neem on Daraz
Victory Day

জি কে শামীমসহ ৮ জনের মামলার রায় আজ


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ১০:১২ এএম
জি কে শামীমসহ ৮ জনের মামলার রায় আজ

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ ৮ জনের মামলার রায় আজ। রোববার (২৫ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন। মামলায় জি কে শামীমসহ আটজনের ১২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে জি কে শামীমের আইনজীবী আশা করছেন তিনি খালাস পাবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আজাদ রহমান বলেন, জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এ মামলায় সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছি।

জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর রহমান বলেন, জি কে শামীমকে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই অবস্থায় এখন নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার জেরায় জি কে শামীমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করেছেন, তার প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষী পাননি। পাঁচ হাজার ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা জেরায় স্বীকার করেছেন যে, জি কে শামীমের আয়ের সব টাকা সরকারি টেন্ডারের। যদি টেন্ডারের টাকা হয়ে থাকে, তাহলে তো টাকা সরকারের কাছে রয়েছে। যাদের কাজ করেছি, তাদের টাকা পরিশোধ করেছি। আমি আদালতকে এসব কথা বলেছি। তাই আমরা আশা করছি, রায়ে আসামি খালাস পাবেন।

এর আগে গত ১৫ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ রোববার দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। নিকেতন ‘এ’ ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে র‌্যাব দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তার কার্যালয় থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

এরপর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। অস্ত্র আইনের মামলা নম্বর ২৮(০৯)১৯, মানি লন্ডারিং আইনের মামলা নম্বর ২৯(০৯)১৯ ও মাদক আইনের মামলা নম্বর ৩০(০৯)১৯।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জশিট জমা দেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়া ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন।

মামলা তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, জি কে শামীম ও তার পরিবার বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে মজুত রেখেছে। এছাড়া আসামি যেকোনো সময় মজুত করা অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া নিতে পারে। মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের স্বার্থে অপরাধলব্ধ আয় সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। আসামির অপরাধলব্ধ আয় অবরুদ্ধ না হলে ব্যাংক হিসাবে জমা করা অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে আইনের উদ্দেশ্যে ব্যাহত হতে পারে। ওই হিসাবগুলোতে কয়েকশ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে