Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বরিস জনসনের ৪ জ্যেষ্ঠ সহকারীর পদত্যাগ


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ১১:৩২ এএম
বরিস জনসনের ৪ জ্যেষ্ঠ সহকারীর পদত্যাগ

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জ্যেষ্ঠ চারজন সহকারী পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে একে একে তারা পদত্যাগ করেন। 

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সদ্য পদত্যাগ করা এই চার ব্রিটিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন- বরিস জনসনের পলিসি প্রধান মুনিরা মির্জা, ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন জ্যাক ডয়লে, চিফ অব স্টাফ ড্যান রোজেনফিল্ড এবং সিনিয়র সিভিল সার্জেন্ট মার্টিন রেনল্ডস।

পদত্যাগ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কনজারভেটিভ পার্টির দুজন শীর্ষ নেতা বলেছেন যে, এটি জনসনের প্রশাসনে পুনঃস্থাপনের সূচনা বলে মনে হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ভেঙে মদপার্টির আয়োজন নিয়ে এমনিতেই বিতর্কের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বেশ জোরেশোরে উঠেছে তার পদত্যাগের দাবিও।

সর্বশেষ জনসনের বিরুদ্ধে লকডাউনের মধ্যে নিজের জন্মদিনের পার্টি করারও অভিযোগ ওঠে। আর এবার এসব পার্টি নিয়ে সমালোচনামুখর রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার তার অন্যতম শীর্ষ চার সহকারী পদত্যাগ করলেন।

এদিকে কর্মকর্তাদের পদত্যাগের বিষয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিফ অব স্টাফ ড্যান রোজেনফিল্ড বৃহস্পতিবার প্রথমে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে তার উত্তরসূরী না পাওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

এছাড়া বরিস জনসনের প্রধান প্রাইভেট সেক্রেটারি ও সিনিয়র সিভিল সার্জেন্ট মার্টিন রেনল্ডসও উত্তরসূরী না পাওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। তবে এরপর তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বে নিযুক্ত হবেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবির অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন তার পলিসি প্রধান মুনিরা মির্জা।

এর আগে সোমবার বরিস জনসন সরকারের প্রশাসনিক পদে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আইনপ্রণেতা স্টুয়ার্ট অ্যান্ডারসন এক টুইটার বার্তায় বলেন, আজ রাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পরিবর্তনটি ঘটতে শুরু করেছে এবং আমি প্রধানমন্ত্রীর এই দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তার এই টু্ইট বার্তার পরপরই সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

দ্য টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোক পালনের সময়ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে কর্মীরা আরও দুটো মদের পার্টি করেন। ওই সময়ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞা ছিল।

গণমাধ্যমটি আরও জানায়, ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীরা কাছের একটি সুপারমার্কেট থেকে মদ কিনে নিয়ে যান। তারা নেচে-গেয়ে পার্টি উদযাপনও করেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদিও সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে ২০২০ সালের ২০ মে মদের পার্টির আয়োজন হয় ডাউনিং স্ট্রিটে, যখন সারাদেশে লকডাউন জারি ছিল। সম্প্রতি পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ওই ঘটনার জন্য বরিস জনসন বার বার ক্ষমাও চেয়েছেন।

৩০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০১৯ সালে ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসেন বরিস জনসন। চলমান করোনা মহামারিতে তিনি ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিকবার মদ্যপানের আসর বসিয়েছিলেন; যা নিয়ে দেশটিতে নিজ দলের পাশাপাশি বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

যদিও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসন বলেছেন, লকডাউনে মদ্যপানের পার্টির মাধ্যমে কোনো ধরনের আইনের লঙ্ঘন হয়নি।

আগামীনিউজ/এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে