Dr. Neem on Daraz
Victory Day

চুক্তি করেও সরকারি গুদামে চাল দেয়নি ২৬১ চালকল


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ১০:৫৪ এএম
চুক্তি করেও সরকারি গুদামে চাল দেয়নি ২৬১ চালকল

সংগৃহীত ছবি

ঢাকাঃ চালকল মালিকদের অসহযোগিতার কারণে কুষ্টিয়ায় বোরো মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। চুক্তি করেও এ মৌসুমে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেনি অনেক চালকল মালিক।চাল না দেয়ায় কুষ্টিয়ায় এই ২৬১ চালকলকে কালো তালিতাভুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি এসব মিলের জামানত বাজেয়াপ্ত, প্রণোদনা বাতিল ও আগামী দুই মৌসুম চাল দেয়ার চুক্তি থেকে বাইরে রাখার পদক্ষেপ নিচ্ছে খাদ্য বিভাগ।

কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, যারা চুক্তি করে চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভাবলে ভাল হয়। ছোট মিলাররা এমনিতেই দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলে তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বোরোতে যারা লোকসানে চাল দিয়েছে তাদের আগামীতে বাড়তি সুবিধা দিতে হবে। কারণ যারা লাভের সময় চাল দিবে আর লোকসানের সময় দেবে না তাদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবে তা সরকারের বিষয়।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা তাহসিনুল হক বলেন, ‘যারা চুক্তি করেও চাল দেয়নি তাদের তালিকা করা হয়েছে। কি কারণে চাল দিতে পারেনি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী এসব মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকার আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি ভাবছে।পাশাপাশি যারা লোকসানে চাল দিয়েছে তাদের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে মন্ত্রণালয়।’

মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। কুষ্টিয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। সময় বাড়িয়েও সংগ্রহ হয়েছে ২২ হাজার মেট্রিক টনের কিছু বেশি।

এবার জেলার ২৫৮টি ম্যানুয়াল ও ৩টি অটো রাইস মিল চাল দেয়নি সরকারি খাদ্য গুদামে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ১৪৪টি, মিরপুরে ৬৭টি ও দৌলতপুরের ৪৭টি মিল রয়েছে। ধানের দাম বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচসহ নানা কারণ দেখিয়ে চাল না দেয়ার কথা জানায় মিল মালিকরা। মিল মালিকরা জানান,'যেহেতু ধান কিনে আমাদের বিক্রি করত হয় তাই ধানের সঙ্গে মূল্যের কিছুটা সম্পৃক্ততা থাকবেই।'

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান বলেন,'গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষক ব্যতীত, মৌসুমী ব্যবসায়ী যারা আছে তার ধান মজুত রাখছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আমরা নির্দেশনা প্রদান করেছি।'

এ দিকে, দফায় দফায় মিলগুলোতে চালের দাম বাড়ানো ও অবৈধ মজুদ খতিয়ে দেখতে আড়ৎ পরিদর্শন করেছে অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি দল। কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতি সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, 'চাল কোথাও মজুত আছে নাকি মূলত এটা পরিদর্শন করে, বাজারে উর্দ্ধগতি যাতে না হয় সেই বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দেয়া হবে।'

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে