‌‘এক কেজি পেঁয়াজের বিমান ভাড়া ১৫০ টাকা’

---

আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ০৬:৪১ পিএম

ঢাকা : আমাদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের জন্য প্রায় ১৫০ টাকা বিমান ভাড়া দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, সরকার ঘাটতি মেটাতে উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। কিন্তু প্রতি কেজির জন্য প্রায় ১৫০ টাকা বিমান ভাড়া দিতে হয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান তিনি।

ব্যবসায়ী ও ক্রেতার সুবিধার জন্য বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিয়ে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলম, বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. আবদুর রউফ বক্তব্য দেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায় মুনাফা কতটা করা যাবে, তার কোনো মানদণ্ড নেই। ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত যখন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, সেদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়। এ পেঁয়াজ তো আমদানি হয়েছে আগে।

ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, তাদের যখন ধরা হয়, তারা বলেন, এখন সুযোগ পেয়েছেন বলে লাভ করেছেন। যখন লোকসান হয়, তখন তো কেউ খোঁজ নেয় না।

মন্ত্রী মনে করেন, পেঁয়াজের দাম এমন একপর্যায়ে থাকা উচিত, যেখানে কৃষকের লোকসান হবে না। মানুষেরও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এ জন্য প্রতিযোগিতা কমিশনের কাজ করার আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে, এতে দামও কমছে বলে জানান তিনি।

আলোচনা সভায় মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন দেশে মূল্যস্ফীতির চারটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। একটি হলো, ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সালের ঘটনা। তিনি বলেন, ওই সময় সমস্যাসঙ্কুল বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। দ্বিতীয়টি হলো ২০০৭ সালে। ওই সময় খাদ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আগাম বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারেনি। ফলে ১১-১২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়ে যায়।

আগামী নিউজ/এএম