Dr. Neem on Daraz
Victory Day

‘করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা’


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২০, ১১:৫০ পিএম
‘করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা’

ঢাকা: করোনা মোকাবেলা ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে উত্তরণের সরকারের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
 
প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্ত্য মন্ত্রণালয়ের ২৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) নিজ বাসভবনে অর্থমন্ত্রণালয়ে সচিবগণের সাথে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণে পরিকল্পনা শীর্ষক বৈঠকে এ কথা বলেন।

করোনা পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ প্রণয়ন, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি ও মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি করনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক এ বিরূপ প্রভাব উত্তরণে বেশ কিছু অবিলম্বে, স্বল্পমেয়াদী ও মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত থেকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্ত্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূল ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

এছাড়া নিম্নআয়ের ব্যক্তিদের ‘ঘরে-ফেরা’কর্মসূচির আওতায় নিজ নিজ গ্রামে সহায়তা প্রদান করা হবে। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ৬ মাসের খাদ্য এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হবে। বিনামূল্যে ভিজিডি, ভিজিএফ এবং ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

মুস্তফা কামাল আরো বলেন, শিল্প উৎপাদন এবং রপ্তানি বাণিজ্যের আঘাত মোকাবিলায় কিছু আপৎকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রপ্তানীমুখী শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং কুটিরশিল্পসমুহের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আরো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক ইতোমধ্যে ব্যবসায়-বান্ধব বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাংকগুলোর পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন,।কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী জুন মাস পর্যন্ত কোন গ্রাহক যদি কিস্তি পরিশোধে অপরাগও হয় তথাপিও তাকে ঋণ খেলাপি না করার ঘোষণা দিয়েছে। এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধেও জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে অপরাগ হলেও ঋণ খেলাপি করা হবেনা। রপ্তানি আয় আদায়ের সময়সীমা ২ মাস থেকে বৃদ্ধি করে ৬ মাস করা হয়েছে। একইভাবে আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা ৪ মাস থেকে বৃদ্ধি করে ৬ মাস করা হয়েছে। মোবাইলে ব্যাংকিং-এ আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে।
সচিবদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মানুষ ও অর্থনীতিকে রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন।


আগামী নিউজ/মিঠু/নাঈম
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে