Dr. Neem on Daraz
Victory Day

নীলফামারীতে বন্যার পানিতে মাছ শিকারের ধুম


আগামী নিউজ | নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২০, ০৩:৪৭ পিএম
নীলফামারীতে বন্যার পানিতে মাছ শিকারের ধুম

সংগৃহীত

বন্যার পানির সঙ্গে দেশীয় মাছের অবাধ বিচরণ থাকে। বৃষ্টির পানিতে নদী উপচে খাল-বিল, ফসলি ক্ষেতে পানি প্রবেশ করে সেই সঙ্গে চলে আসে মাছও। আর সেই বন্যার পানিতে মাছ ধরার হিড়িক পড়ে যায়।

নীলফামারী জেলার উত্তরের দুটি উপজেলা তিস্তা নদীবেষ্টিত জলঢাকা ও ডিমলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তিস্তা নদীপারের বাড়িঘর দ্বিতীয় দফা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।  গবাদি পশু, কৃষি কাজ ও মাছ ধরা এ অঞ্চলের মানুষের জীবিকার অন্যতম উৎস।

এদের মধ্যে পেশাদার মাছ শিকারির পাশাপাশি সৌখিন মাছ শিকারিদের সংখ্যাও কম নয়। তিস্তাপারের প্রায় সবক’টি পরিবারই বন্যা মৌসুমে মাছ শিকার করে থাকে। এ সময় পুরো নদীঅঞ্চল ডুবে যায় পানিতে। বসত ঘরেও উঠে যায় পানি।

চারপাশে পানি থাকায় কমে যায় দিনমজুরের কাজ। এ সময়টায় মাছ শিকারে ঝুঁকে পড়ে নদীপারের মানুষ। বাঁশের চাঁই (টেপাই/পলই), নানা প্রকার জাল, বড়শি পেতে মাছ ধরা হয়।

স্থানীয়রা জানান, তিস্তাপারের প্রায় সব পরিবারই মাছ ধরায় ব্যস্ত হয়ে যায় বর্ষা মৌসুমে। নিজের খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রিও করা হয়। দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষ মাছ কিনতে তিস্তা নদী এলাকার বিভিন্ন বাজারে আসে। এখানে নদীর মাছ তুলনামূলক কম দামেই বিক্রি করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পারের প্রতিটি বাড়ির উঠানেই পানি। অনেকে তিস্তার বেরি বাঁধে এসে আশ্রয় নিয়েছে। রাস্তার পাশ দিয়ে, বাড়ি-ঘরের আশপাশে মাছ ধরার ফাঁদ পেতে রেখেছেন স্থানীয়রা। অনেকে জাল পেতেও মাছ ধরছেন।

তিস্তাপারবাসী আব্দুর রহিম বলেন, বন্যায় ডুবে গেছে আমাদের ঘর-বাড়ি।  আমাদের চারপাশেই পানি। আমরা নিজেদের খাওয়ার জন্য মাছ ধরি। বেশি পেলে বাজারে বিক্রিও করে দেই। তাতে কিছু চাল-ডাল কেনা হয়।

আবুল কালাম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, রাস্তার পাশ দিয়ে বাঁশের চাঁই (টেপাই/ডারকি) পাতা হয়। সন্ধ্যায় পেতে রেখে ভোরে উঠানো হয়। দ্বিতীয় দফায় দুপুরে আরেকবার পাতা হয় দোয়াইরগুলো। তবে রাতে পেতে রাখা দোয়াইর ভোরে উঠালে বেশি মাছ পাওয়া যায়। তা বাজারে বিক্রি করে দেই। দুপুরে যা পাই তা নিজেদের রান্নার জন্য হয়ে যায়।

আরেক তিস্তাবাসী বলেন, আগে প্রচুর মাছ ছিল। এত মাছ পেতাম পরে আর খেতেও ভালো লাগতো না। এখন কমে গেছে মাছের সংখ্যা। আগের মতো প্রচুর মাছ এখন আর ধরা পড়ে না। বেলে, ট্যাংড়া, বাঁচা, আইড়, বাইম, পুঁটি, চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাজারে এ মাছের চাহিদা অনেক।

এক দিকে বানের পানি, অন্যদিকে করোনা ভাইরাস। সব মিলিয়ে তিস্তার নদীর পারের বাসিন্দারা পার করছেন দুর্ভোগের সময়। পানিবন্দী হয়ে পড়ায় দৈনন্দিন কাজ কমে গেছে তাই খেটে খাওয়া মানুষেরা মাছ ধরে সময় পার করছেন।

আগামীনিউজ/সাব্বির /জেএফএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে