Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের পর্যটন


আগামী নিউজ | আগামী নিউজ প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০১৯, ০৩:৫০ পিএম
বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের পর্যটন

পর্যটন ব্র্যান্ডিং এর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণ গুলোকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী।

বুধবার (৬ অভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য,পর্যটন সম্পর্কিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৭ সালে এ বিভাগটির প্রতিষ্ঠিত করলেও ২০০৮ সালে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

মন্ত্রী বলেন,প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি আমাদের রয়েছে বর্ণিল লোক উৎসব, লালবাগ কেল্লা সহ নানা পুরাকীর্তি। আমাদের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে, রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর সারা পৃথিবী বাংলাদেশকে চিনে ছিল বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হিসাবে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখনো আমাদের পর্যটন পণ্যগুলোর ব্র্যান্ডিং হয়নি। এখন সময় এসেছে আমাদের পর্যটন খাতের বিকাশের জন্য পর্যটন পণ্যগুলোর ব্র্যান্ডিং করার।

মাহবুব আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব কিছুতেই গুণগত পরিবর্তন এসেছে। দেশ এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। দেশের এই অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পর্যটন খাতের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।পর্যটনের উন্নয়নের জন্য দরকার আমাদের সকলের সমন্বিত উদ্যোগ।পর্যটনের উন্নয়নে আমাদের কমিটমেন্ট থাকতে হবে।আমাদের পরিশ্রম করতে হবে,ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সফল হতে হলে কষ্ট করার কোন বিকল্প নেই। পর্যটনের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে এরকম কোন কাজ টলারেট করা হবে না। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলার প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল ,মেট্রোরেল ও পাতালরেল নির্মাণ এর সবই আমাদের নাগরিকদের সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি পর্যটকদেরও সেবা প্রদান করবে। এই মেগা প্রজেক্ট গুলি বাস্তবায়িত হলে তা পর্যটকদেরকে বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন,পর্যটনের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন সম্পন্ন করা হবে। এছাড়াও সিলেটের বিছানাকান্দির পাশে একটি গ্রামকে পর্যটন গ্রামে রূপান্তরিত করা হবে। ওই গ্রামে পর্যটকেরা যাতে স্বচ্ছন্দে দেশীয় নাগরিকদের সাথে একত্রে বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেখানকার অবকাঠামোগত সুবিধা নির্মাণে সরকার সহযোগিতা করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে  ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ডঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যিক শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর পরিচালক তৌফিক রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মোঃ আফজাল হোসেন।

 

এস আর

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে