Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বাঁশের তৈরি পণ্যের আয়েই ভাগ্য পরিবর্তন


আগামী নিউজ | ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০, ০১:৪৯ পিএম
বাঁশের তৈরি পণ্যের আয়েই ভাগ্য পরিবর্তন

ভোলা : ভোলার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মো. নজির মিয়া ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করছেন। তাদের একমাত্র আয়ের  উৎস এসব হস্তশিল্প। 

বাঁশ দিয়ে সাজি, কুলা, চালনি, ডালি, খাঁচা তৈরি করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন তারা। তাদের সফলতা দেখে অন্য নারী-পুরুষও এ পেশায় আগ্রহী হচ্ছেন। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তিন সন্তানকেই তারা বিয়ে দিয়েছেন। তাদের সংসারে কোনো অভাব নেই।

জাহানারা জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে গরিব কৃষক নজির মিয়ার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ৫ মাস পর তারই উৎসাহে  তার স্বামীকে নিয়ে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প জিনিস তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করতেন। এখন আর তাদের এসব হাতে তৈরি বাঁশের জিনিস হাট-বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে হয় না। পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, এসব জিনিস তৈরি করার পর থেকে তার স্বামী কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়েছেন। প্রতি পিস সাজি তৈরি করতে খরচ হয় ৫০-৬০ টাকা। বিক্রি করেন ৩০০-৪০০ টাকা। মুরগির খাঁচা তৈরি করতে ২৩-৪০ টাকা খরচ হয়। বিক্রি করেন ১৫০-২০০ টাকা। এসব বিক্রি করে তারা মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করছেন।

প্রতিবেশী কামাল ও রহিমা বেগম বলেন, বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে নজির মিয়া ও জাহানারার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এবং তারা অনেক ভালো আছে। আমরাও তাদের কাছে এসব হস্তশিল্পকাজ শিখে তৈরি করছি বিভিন্ন জিনিস। আমরাও এখন ভালো অবস্থায় আছি।

ভোলা উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমরা ওই দম্পতির সাথে কথা বলেছি এবং তাদের নিয়ে আমরা কাজ করবো। এছাড়া প্রশিক্ষণের জন্য নারী-পুরুষের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এসব প্রশিক্ষিত নারী-পুরুষরাই ভোলাসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’


আগামীনিউজ/হাসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে