Dr. Neem on Daraz
Victory Day

লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতিতে ধস নামবে


আগামী নিউজ | জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতিতে ধস নামবে

নীলফামারীঃ করোনা বিস্তারের আগ থেকেই শিল্পের কাঁচামালের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই হিসেবে শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য এক ভাগও বাড়েনি। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের ৮০ভাগ জুট মিল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে চলছে মহা দুর্যোগ। করোনা মোকাবেলায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে।

এতে করে শিল্প কারখানা চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদিত পণ্যের বিক্রি অনেক কমে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে শ্রমিক ছাটাই করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ শ্রমিক কাজ ছাড়া হয়ে বেকার জীবন যাপন করছে। আবার লক ডাউনের কারণে ঢাকায় যেসব শ্রমিক কাজ করছিলো তারাও মফস্বলে নিজ বাড়িতে এসেছে। অথচ বাড়িতে এসে তারা অলস সময় কাটাচ্ছে। হাতের পুঁজিও তাদের শেষ হতে চলেছে। সে কারণে স্বাস্থ্য সচেতন থেকে মুখে মাস্ক পড়ে করোনার মোকাবেলা করতে হবে। শিল্প কারখানা যাতে পুরো দমে চালু থাকে সেই ব্যাপারে সরকারের শিল্প বান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এসব কথা আগামী নিউজকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের সর্বোচ্চ ভ্যাট দাতা সিআইপি ও ইকু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্ম সৃষ্টির কারিগর আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।

তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, বিশেষ করে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষাখাত করোনার ছোবলে পুরোপুরি ধ্বংস হতে চলেছে। শিশুরা বাড়ি বন্দি থাকার কারণে বই বিমূখ হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়ার চাপ বলতে যা বোঝাতো, তা থেকে শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি মুক্ত। সে জন্য তারা কোনভাবেই বইমুখো হতে চাইছে না।

তারমতে, শ্রেণি কক্ষ বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করতে হবে। স্কুল এবং কলেজে পাঠদানের সময় কমাতে হবে। একই সঙ্গে কমাতে সিলেবাস। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে যাতে কোন অন্তরায় সৃষ্টি না হয় সেটি মাথায় রেখেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন।

তার চিন্তামতে, অটো পাশ পদ্ধতি চালু থাকলে শিক্ষার মান বলতে কিছুই থাকবে না। এ কারণে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে বসাতে হবে। ওই শিল্পপতি আরও বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ৩০০জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি কেন্দ্র থাকবে। তাতে ৩০ শ্রেণি কক্ষে পরীক্ষা নেয়া হলে কোনভাবেই করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা হয়তো বা থাকবে না। এজন্য জনবল বৃদ্ধি করার বিষয়টি শিক্ষক ও প্রশাসন মিলে ঠিক করে নিতে হবে। সব কথার এক কথা পরীক্ষা অবশ্যই নিতে হবে।

আগামীনিউজ/এএস