উদ্ধার অভিযান অব্যাহত
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি : ৩০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে
ঢাকা : পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জ-শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবারের (২৯ জুন) লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী ৮ জন এবং ৩ জন শিশু রয়েছে। আর জীবিত হয়েছেন দুইজন। উদ্ধারকৃত মরদেহের মধ্যে ৩০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সত্যরঞ্জন বনিক (৬৫), মিজানুর রহমান (৩২), শহিদুল (৬১), সুফিয়া বেগম (৫০), মনিরুজ্জামান (৪২), সুবর্ণা আক্তার (২৮), মুক্তা (১২), গোলাম হোসেন ভুইয়া (৫০), আফজাল শেখ (৪৮), বিউটি (৩৮), ছানা (৩৫), আমির হোসেন (৫৫), মো. মহিম (১৭), শাহাদাৎ (৪৪), শামীম ব্যাপারী (৪৭), মিল্লাত (৩৫), আবু তাহের (৫৮), দিদার হোসেন (৪৫), হাফেজা খাতুন (৩৮), সুমন তালুকদার (৩৫), আয়শা বেগম (৩৫), হাসিনা রহমান (৪০), আলম বেপারী (৩৮), মোসা. মারুফা (২৮), শহিদুল হোসেন (৪০), তালহা (২), ইসমাইল শরীফ (৩৫), সাইফুল ইলাম (৪২), তামিম ও সুমনা আক্তার।বাকি দুজনের বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পর থেকে সারারাত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। অভিযান এখনও চলছে। তবে নতুন করে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল সিকদার এ তথ্য জানান।
রাতভর উদ্ধার অভিযান চলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। নতুন করে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। লঞ্চটি তোলার চেষ্টা চলছে, ডুবুরিরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে ৫০ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ‘মর্নিং বার্ড’ নামে ঢাকা- মুন্সিগঞ্জ রুটের একটি ছোট লঞ্চ। এ সময় মাত্র কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হন।
আগামীনিউজ/মনির