Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আবারও বাড়ছে করোনা, চার বিষয়ে কারিগরি কমিটির সতর্কতা


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০১:০২ পিএম
আবারও বাড়ছে করোনা, চার বিষয়ে কারিগরি কমিটির সতর্কতা

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারও করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এবার ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের নতুন ধরন ‘বিএফ.৭’, যা অতি সংক্রামক ও শনাক্ত করা কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চীনে নতুন করে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে ভারতসহ বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের কোভিডবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি ৪ দফা সুপারিশ জানিয়েছে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজিত ‘বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

তিনি জানান, চীন-ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে। অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করছে। এই অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে শনিবার জাতীয় কারিগরি কমিটির বৈঠক ছিল। কমিটি চারটি বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে।

কমিটির পরামর্শের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টে সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য এটির ভয়াবহতা অনেক বেশি। তাই যারা টিকা নেয়নি তাদের দ্রুত নিয়ে নেওয়ার জন্য কারিগরি কমিটি সুপারিশ করেছে। এছাড়া সেকেন্ড বুস্টার ডোজের (চতুর্থ ডোজ) প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধির বিষয়েও বলেছে কমিটি। যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, প্রেগন্যান্ট নারী ও ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন, তাদেরকে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দ্রুততম সময়ে নিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাদের কোমরবিড কন্ডিশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যেমন- মাস্ক ব্যবহার করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার বিষয়ে কারিগরি কমিটি থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

সকল বন্দরে সতর্কতা জারির বিষয়ে তিনি বলেন, কারিগরি কমিটির পরামর্শ বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ সব পোর্টগুলোতে পরীক্ষা জোরদার করা। এটি বাস্তবায়নে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পোর্টগুলোতে চিঠি দিয়েছেন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দর থেকে শুরু করে সকল জায়গায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করে তাদের আইসোলেট করা বা তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া। এছাড়াও যেসব দেশে করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে, সেসব সন্দেহভাজন দেশ থেকে যারা আসবেন, তাদের মধ্যে উপসর্গ থাকলে দ্রুত পরীক্ষার আওতায় এনে যেকোনো ভাবে এটিকে রিস্ট্রিক্ট করা, যাতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাবটি আমাদের দেশে না ঢুকতে পারে। 

গবেষণার পরামর্শের কথা জানিয়ে অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, আমরা আইইডিসিআরকে নির্দেশনা দিয়েছি, যদিও দেশে বর্তমানে আক্রান্ত সংখ্যা বেশি হচ্ছে না, তারপরও আমরা বলেছি যাদেরই সংক্রমণ পজিটিভ আসবে, তাদের যেন জেনেটিক সিকোয়েন্স করে সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আছে কিনা সেটি যেন পরীক্ষা করা হয়।

এসময় অনলাইন এ বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম, কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের  উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে