১. দুর্নীতির ছায়ায় দেশবিরোধী আইন প্রণয়ন:
- ২০১২-১৩ সালে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী *আমির হোসেন আমু* এবং *বেসরকারি সংস্থা গেইন (GAIN)*-এর চক্রান্তে অসৎ আমলা-ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ বাধ্যতামূলক করা হয়।
- অভিযোগ রয়েছে, এই আইন পাসের পেছনে *মোটা অঙ্কের ঘুষ* বিনিময় হয়েছে, যা জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
২. ভোক্তাদের পকেটে আঘাত:
- ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ মিশ্রণের প্রযুক্তিগত ব্যয় এবং আমদানিকৃত ভিটামিনের মূল্য সরাসরি ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
- ফলাফলস্বরূপ, *ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি* পেয়েছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সংকট তৈরি করেছে।
৩. স্বাস্থ্যঝুঁকি: জোরপূর্বক ভিটামিন এ সেবন:
- বাংলাদেশে ইতিমধ্যে *গাজর, পালংশাক, মিষ্টিকুমড়া, কচুশাক, লালশাক*-এর মতো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ শাকসবজি প্রচুর উৎপাদিত হয়।
- তবুও এই আইনের মাধ্যমে *শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত ভিটামিন এ* জোর করে খাওয়ানো হচ্ছে, যা *লিভার ক্ষতি, গর্ভবতী নারীদের জটিলতা*সহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
৪. প্রাকৃতিক উৎসের অবমূল্যায়ন ও কৃষকের ক্ষতি:
- *গাজর, পালংশাক, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা পেপে, লাউশাক*-এর মতো সহজলভ্য ও সস্তা সবজি উপেক্ষা করে কৃত্রিম ভিটামিন এ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৫. পরিবেশ দূষণ ও অর্থহীন প্রযুক্তি:
- ভিটামিন এ সংযোজন প্রক্রিয়ায় *রাসায়নিক বর্জ্য* পরিবেশ দূষণ করছে।
- তেলের উচ্চতাপে রান্নার সময় ভিটামিন এ'র গুণাগুণ নষ্ট হওয়ায় এটি *অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অপচয়*।
৬. সরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ অপচয় (বিএসটিআই):
- ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ যুক্ত করার অগুরুত্বপূর্ণ কাজে *বিএসটিআইয়ের জনবলের বড় অংশ* ব্যস্ত।
- ফলে *খাদ্যদ্রব্যে ভেজালরোধী তদারকি, মান নিয়ন্ত্রণ*-এর মতো জরুরি কাজ উপেক্ষিত হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
৭. জনগণের আস্থাহীনতা ও বিদেশি প্রভাব:
- দুর্নীতি ও বিদেশি সংস্থার প্রভাবে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত *সরকারের প্রতি জনঅস্থিরতা* বাড়িয়েছে।
- এটা প্রমাণ করে, জাতীয় স্বার্থের চেয়ে *বহুজাতিক কোম্পানির মুনাফা* অগ্রাধিকার পেয়েছে।
৮. সমাধানের পথ: প্রাকৃতিক পুষ্টি ও জবাবদিহিতা:
- এই কালো আইন অবিলম্বে বাতিল করে *স্থানীয় শাকসবজি উৎপাদন, পুষ্টি শিক্ষা ও কৃষকদের সহায়তা* জোরদার করতে হবে।
- দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে *দোষীদের শাস্তি* এবং বিএসটিআইয়ের সম্পদ *জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে* বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
মূল বার্তা:
ভিটামিন এ সংযোজনের নামে বাংলাদেশের মানুষকে ঠকানো হয়েছে। প্রকৃতির দেওয়া সম্পদ (গাজর, পালংশাক, মিষ্টিকুমড়া) উপেক্ষা করে কৃত্রিম পথ বেছে নেওয়া হয়েছে শুধু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর লাভের জন্য। এখনই সময় এই ভ্রান্তিনীতি বন্ধ করে প্রকৃতির পুষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়ার!