বিএনপির সাবেক এমপি মোমিনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত ডেস্ক নভেম্বর ২৪, ২০২১, ১২:০৬ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) পলাতক আবদুল মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত সোমবার (২২ নভেম্বর) আব্দুল মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

গত ৩১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আব্দুল মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার বিরুদ্ধে শুনানি শেষ হয়।

সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা ওরফে খোকা রাজাকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ২০১১ সালে আদালতে মামলা করেন আদমদীঘির কায়েতপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুবিদ আলী। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করতে আদমদীঘি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পরে ওই মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়।

আব্দুল মোমিন তালুকদারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনকে হত্যা ও গণহতহ্যা ও ১৯টি বাড়ি অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংসেরও অভিযোগ রয়েছে।

২০১৮ সালের ৩ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি আব্দুল মোমিন মুসলিম লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পাকিস্তান দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। আদমদীঘি থানার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে সহযোগিতা করেন অন্যান্য রাজাকার ও পাকিস্তান বাহিনীকে। তার বিরুদ্ধে মোট ৭১৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। 

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। পরে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি হন। এরপর বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আসেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন আব্দুল মোমিন। তিনি ২০০১ ও ২০০৮ সালে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।


​​​​​​আগামীনিউজ/বুরহান