যুক্তরাজ্যে ভয়াবহ নির্যাতন ও ধর্ষণের বর্ণনা দিল উইঘুর মুসলিমরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ৫, ২০২১, ০৮:১৯ এএম

ঢাকাঃ চীন সরকারের ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছে উইঘুর মুসলিমরা। যদিও চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য নির্যাতনের বর্ণনা দেন ভুক্তভোগীরা।

শুক্রবার আদালতে প্রথম শুনানি শুরু হয়েছে, চলবে সোমবার পর্যন্ত। আশা করা হচ্ছে, ডজনের বেশি উইঘুর ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

উইঘুর মুসলিমদের কোনো রাষ্ট্র সমর্থন নেই। এছাড়া কোনো রায়ই সরকারের ওপর বাধ্যতামূলক হবে না। তবে বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে এই শুনানিকে ‘মিথ্যা বলার যন্ত্র’ বলে সম্বোধন করেছে।

চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশটি ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে বন্দি রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশটি নারীদের বন্ধ্যাকরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম আদায় এবং ধর্মীয়, বাক ও চলাচলের স্বাধীনতায়ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

জিনজিয়াং প্রদেশের তিনজন উইঘুর তুরস্কে পালিয়ে যান। যুক্তরাজ্যের আদালতে তারা কর্তৃপক্ষের জোরপূর্বক গর্ভপাত এবং নিপীড়নের সাক্ষ্য দিয়েছেন। লন্ডনের আদালতে দেওয়া এই তিনজনের সাক্ষ্য-প্রমাণ, উইঘুরদের ওপর চীনের গণহত্যার তদন্তে ব্যবহৃত হবে।

সাক্ষী দেওয়া তিনজনের একজন নারী বলেন, তিনি যখন সাড়ে ছয়মাসের গর্ভবতী, কর্তৃপক্ষ তখন তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করে। আরেকজন পুরুষ বলেন, কারাগারে সেনারা তাকে দিনরাত নির্যাতন করেছে।

৫৫ বয়সী রোজি নামে আরেক উইঘুর নারী বলেন, ২০০৭ সালে কয়েকজন প্রেগন্যান্ট নারীর সঙ্গে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। কর্তৃপক্ষ তাকে পঞ্চম সন্তান গর্ভপাতে বাধ্য করে।