পরীক্ষার আগের রাতেই চাকরি প্রত্যাশীকে অপহরণ

জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর ডিসেম্বর ৩১, ২০২২, ০৮:৩০ পিএম

লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী নিয়োগ পরীক্ষার আগেরদিন রাতেই চাকরি প্রত্যাশী আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে।

পরদিন বিকেলে চট্টগ্রামের একটি রেল স্টেশন থেকে অচেতন অবস্থায় আকরামকে উদ্ধার করা হয়। এতে আকরাম নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে আকরামের বাবা জহির উদ্দিন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) জহির বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

বাদি জহির ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী নৈশ প্রহরী হিসেবে চাকরিরত ছিলেন। তিনি বিদ্যালয়ের পেছনেই পরিবার নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

মামলা সূত্র ও আকরামের পরিবার জানায়, ২৭ ডিসেম্বর রাত ৭টার দিকে বের হয়ে রাতে আর ঘরে ফেরেননি আকরাম। রাতেই তার বাবা-মা সম্ভাব্য সব স্থানে তার খোঁজ নেয়। কিন্তু কোথাও তাকে পায়নি। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে মোবাইলফোনে কল দিয়ে জানানো হয় আকরাম অচেতন অবস্থায় একটি রেল স্টেশনে পড়ে আছে। সেখানে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে। পরে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে আকরামকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর এনে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আকরাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

উদ্ধার হওয়ার পর আকরাম জানিয়েছেন, ঘর থেকে বিদ্যালয় মাঠে বের হলে পেছন থেকে কে বা কারা তার নাকে রুমাল চেপে ধরে। এরপর সে আর কিছুই জানে না। পরে সকালে তাকে চট্টগ্রামে কয়েকজন লোক উদ্ধার করে পরিবারের মোবাইলফোন নাম্বার চায়। পরে তাদের কল পেলে জহির ও তার ভাই চট্টগ্রাম গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

আকরামের বাবা জহির উদ্দিন ও চাচা পারভেজ হোসেন বলেন, ২৭ ডিসেম্বর রাত ৭টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে চেতনানাশক স্প্রে মেশানো রুমাল নাকে চেপে ধরে আকরামকে অপহরণ করা হয়। পরদিন তার নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। আকরাম যেন পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারে সেজন্য তাকে কৌশলে অপহরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে অপহরণ করেছে তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না।

ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, পরীক্ষার আগমুহুর্তে আকরামের অপহরণের ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। সে পরীক্ষার্থী ছিল। কিন্তু অপহরণ হওয়ার কারণে সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। ছেলে এখনও অসুস্থ। তার সঙ্গে কথা বলে আরও কিছু বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। এরপর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএস