বান্দরবানে পাহাড় কেটে ড্রেন, ড্রেনের উপরে বহুতল ভবন নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা জানুয়ারি ৯, ২০২১, ০৫:৫৮ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

বান্দরবানঃ বান্দরবান পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কালাঘাটা এলাকার একমাত্র পানি নিষ্কাশন খালটিতে ড্রেন নির্মাণ করার জন্য কাটা হচ্ছে পাহাড় অন্যদিকে সেই ড্রেনের  জায়গা দখল করে তার উপর আগে থেকেই নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থায়ী স্থাপনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পানি প্রভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। সরকারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা এক স্থাপনাতেই খোয়া যাবে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরই বলেছেন উন্নয়নের জন্য কোন ভাবেই প্রকৃতি ধ্বংস করা যাবে না। সেখানে পাহাড় কেটে নির্মাণ হচ্ছে ড্রেনেজ। একদিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ নির্মাণে পাহাড় কাটা হচ্ছে একই সাথে সেই ড্রেনেজ এ পানি প্রবাহ বিঘ্ন সৃষ্টি করবে প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্মাণাধীন আলিশান বাড়ি যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

 

জানা যায়, পৌরসভার বাৎসরিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় বড়ুয়ার টেক থেকে কালাঘাটা হয়ে সাঙ্গু নদীতে পানি নিষ্কাষণের জন্য বান্দরবান পৌরসভা থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে খাল সংস্কারে ড্রেনেজ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি বাস্তবায়ন করছে সৌরভ দাশ শেখর। অন্যদিকে খাল প্রসস্থ করার আগে থেকেই ড্রেনেজের উপর কালাঘাটার বড়ুয়ারটেক এলাকায় ড্রেনেজের পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে নিজস্ব আলিশান ভবন তৈরী করছেন ননী গোপাল দাশ নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। 

এই বিষয়ে ননী গোপাল দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি আগামী নিজউকে বলেন, আমি আমার ভবন টি পৌরসভার অনুমতি নিয়ে সম্পূর্ন বৈধ ভাবে তৈরী করছি। পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী আমাকে এখানে ভবন নির্মাণে সরাসরি অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন না পেলে আমি এই বাড়ী নিমার্ণ করতাম না। 

এই সময় তিনি নিজেকে সাবেক সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার এই ভবন পানি চলাচলে কোন বাধা সৃষ্টি করছে না। 

এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার সৌরভ দাশ শেখর মুঠোফোনে কাজের ঠিকাদার তিনি নন জানিয়ে তিনি বলেন, এই কাজের ঠিকাদার ইউটি মং। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউটি মং এর নামে লাইসেন্স নেওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ হলেও কাজটি মূলত সৌরভ দাশ-ই করছেন।  

এই বিষয়ে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী আগামী নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি অনুমোদন দিয়েছি কি না মনে নেই তবে কাগজ পত্র দেখে ও সরেজমিনে গিয়ে জানাতে পারব। 

পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান জেলা কার্যালয় থেকে লোকবল সংকটের কথা জানিয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় এই প্রতিবেদকের কাছে। 

আগামী নিউজ/এএইচ