সুনামগঞ্জের ব্যবসায়ীরা কোরবানির গরু-ছাগল নিয়ে দুশ্চিন্তায়

নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৪, ২০২০, ০৩:৫৬ পিএম
সংগৃহীত ছবি

সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার ব্যবসায়ীরা বন্যার কারনে কোরবানির জন্য পালিত গরু ও ছাগল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন । কোরবানির ঈদে এসব গরু-ছাগল বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা ছিল তাদের। কিন্তু বন্যার পানিতে মাঠ ডুবে যাওয়ায় নেই সবুজ ঘাস,সংরক্ষণে থাকা খড় শেষ আর যা আছে তাও পানিতে পচে গেছে। ফলে গো খাদ্য সংকটে পড়েছে কৃষকরা। এছাড়া নানা অসুখ লেগেই আছে গরু-ছাগলের। এদিকে বন্যার কারণে তাদের সহযোগীতায় আসতে পারছেন না সরকারি কর্মকতা ও পশু চিকিৎসকরা ।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভপুর, ছাতক, দোয়ারা বাজার, দিরাই, শাল্লা, জগন্নাথপুরসহ ১১টি উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই কৃষক পরিবারে রয়েছে ৫-১০টি হাল চাষের গরু। কোনো কৃষক পরিবারে আরও বেশি। তারা প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি দামে বিক্রির আশায় বাড়তি যত্ন করে গরু লালন-পালন করেন । এছাড়াও হাওরাঞ্চলের গরু ব্যবসায়ীরাও ঈদকে সামনে রেখে লাভের উদ্দেশে লাখ লাখ টাকা ঋণ করে পশু কিনে লালন-পালন করেন। কিন্তু এবার বন্যায় তারা হতাশ।

তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের দুধের আওটা গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও কয়েকটি গরু খুব যত্ন করে লালন-পালন করেছেন বেশি দামে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য। কিন্তু বন্যায় গো-খাদ্যের অভাব ও নানান অসুখ দেখা দেওয়ায় ঈদে যে গরুর দাম ৫০০০০ টাকা হত তা এখন বিক্রি করে দিয়েছি মাত্র ২৫০০০ টাকায়।’

জেলা সদর উপজেলার দিনমজুর শামসুল মিয়া জানান, বন্যায় সবুজ ঘাসের অভাব আর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকায় গরুর পায়ে ঘাসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এখন দুধ দেয় না বললেই চলে।

ব্যবসায়ী আশরাফুল মিয়া ও মোস্তফা মিয়া জানান, ‘এবার কোরবানির ঈদে পশু বিক্রি করে লাভবান হতে পারব না। কারণ বন্যায় গো-খাদ্য সংকট ও নানান অসুখের কারণে গরু ও ছাগল মোটাতাজাকরণের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খরচের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এবার লাভের বদলে ক্ষতি হবে।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘গো-খাদ্যে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন পাঠিয়েছি। এবারের বন্যায় ১৫টি মেডিকেল টিম গঠন করে পশু চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে জনবল সংকটে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেডিকেল টিম যেতে সমস্যা হচ্ছে।

আগামীনিউজ/আর/জেএস