বাংলাদেশের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ, ঠেকাতে মরিয়া জিম্বাবুয়ে 

ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ১১, ২০২০, ১২:৩৬ পিএম
ছবি সংগৃহীত

ঢাকা : টেস্টে ১-০, ওয়ানডে সিরিজে ৩-০। জিম্বাবুয়েকে আরো একবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিতে মাঠে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বুধবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সফরকারিদের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা। করোনাভাইরাসের কারণে এই ম্যাচে সীমিত সংখ্যক দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবে। সেভাবেই বিক্রি করা হবে টিকেট।  

গেল বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর যেন চেনাই যাচ্ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং পাকিস্তানে শুধু হারই দেখেছে লাল সবুজ জার্সিধারীরা। অবশেষে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছন্দে ফিরেছে টাইগাররা। একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে তামিম-লিটনরা। 

টেস্ট, ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে মাহমুদউল্লাহরা। এবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে আরো একবার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করাই লক্ষ্য বাংলাদেশের।

কুড়ি ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের পারফরমেন্স দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। বিশেষভাবে টপ-অর্ডারে, তামিম ও লিটন। উইকেট কিছুটা কঠিন ছিলো কিন্তু ব্যাটসম্যানরা ভালো করেছে। ব্যাটসম্যানরা তাদের শক্তির প্রমান দিয়েছে।’

দলকে আত্মতুষ্টিতে না ভোগার আহ্বান জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে পারিনা। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।’

টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন ম্যাচসহ ১২বারের মুখোমুখিতে ৮টিতে জিতেছে টাইগাররা। ৪টিতে জয় পায় জিম্বাবুয়ে। তবে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতে সফরে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি ভালো কিছু পেতে মরিয়া জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস বলেন, বোলিং করার সময় আমরা লেন্থ ভুল করি। ব্যাট হাতে টপ অর্ডারে বড় জুটি না হওয়া আমাদের ডুবিয়েছে। ঐসব জুটিগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে ভাল করলে সম্ভবত আমরা প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে তুলতে পারতাম। ২শ রান চেজ করা অনেক বেশি চাপের। কিন্তু আমাদের শট নির্বাচন করার বিষয়ে আমাদের আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। এটি খুবই সাধারন বিষয়।’

আগামীনিউজ/জাফিউল