চ্যালেঞ্জ করলেই এনটিআরসিএর সুপারিশ!

দিপংকর রায় আগস্ট ৩, ২০২১, ১২:০৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ ৩য় নিয়োগবিজ্ঞপ্তিতে যারা সুপারিশ  পাননি তাদের রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করলেই দেওয়া হবে সুপারিশ পত্র।হতাশাগ্রস্থ নিয়োগ বঞ্চিতদের পূজি করে এমন কৌশল আর প্রতারণার ফাঁদ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।পবর্তীতে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে প্রাথমিক ভাবে সুপারিশের ফলাফল প্রকাশ করে। সুপারিশ প্রাপ্তদের  তালিকা বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবং প্রাথমিকভাবে সুপারিশ পাওয়াদের তালিকা পুলিশ ভেরিফিকেশনে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ সুপারিশের ফলাফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ গুলোতে পক্ষে বিপক্ষে চলছে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ।

এবার ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না থাকায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে প্রার্থী না পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদের সুপারিশ করেনি এনটিআরসিএ।

আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই যারা সুপারিশ পাননি সেই হতাশা গ্রস্থ প্রার্থীদের পূঁজি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রতারণার ফাঁদ নিয়ে বসে আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 
 
আফিয়া ফাহমিদা,নিয়োগ প্রত্যাশী ও সামির সহ বিভিন্ন নামে বেশ কিছু একাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) চালাচ্ছেন প্রচারণা যে,যারা ৩য় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পায়নি তাদের এখনি নিয়োগ করে দেব। NTRCA থেকে নিয়োগ করে দেব। আমরা রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ করে দেব। রেজাল্ট আপনি ওয়েব সাইটে দেখতে পাবেন। গতকাল রেজাল্ট সংশোধন করে ৩৯ জনকে নিয়োগ করে দিয়েছি। যারা নিয়োগ পেতে চাও তারা ম্যাসেজ করো।খরচ হবে মোট ৮০০০ টাকা। NTRCA চ্যালেঞ্জ ফি ৬০০ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। যদি অগ্রিম দিতে পারেন ফি তাহলে রোল নাম্বার দেন।

এমন স্টাটাসের মন্তব্য করছেন বিভিন্ন ভাবে কেউ গালাগাল দিচ্ছেন, অনেকেই আবার মোবাইল নং দিচ্ছেন যোগাযোগের জন্য।আর যারা যোগাযোগ করছেন তারা যে প্রতারিত হচ্ছেন এটা পরিষ্কার ভাবেই বুঝার বাকি থাকে না।

সামির নামীয় একাউন্টের স্টাটাসের  ভিত্তিতে তার সাথে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করলে তিনি রোল নং চান এবং বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে বলেন এবং একটি নাম্বার দিয়ে পেমেন্ট করে যোগাযোগ করতে বলেন। আর কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। 

এমন আরও কয়েকটি একাউন্টের মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করলে সেগুলোতেও পরিচয় লুকিয়ে শুধু রোল নং আর টাকার হিসেব অগ্রগন্য তাদের কাছে।পরে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে একাউন্ট গুলো ডিএক্টিভ পাওয়া যাচ্ছে।             

তবে এরকম পোস্টে নিজেকে প্রতারণা শিকার হতে থেকে সবার বিরত থেকে উচিৎ।বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ অফিসিয়ালি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সতর্ক করে জানিয়েছে কারো সাথে লেনদেন না করার জন্য এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে সচ্ছ ও সয়ংক্রিয় ভাবে।