প্রবাসী স্বামীর দেহ ঝুলছিল, স্ত্রীর মরদেহ পড়েছিল মেঝেতে

নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ১২:২৫ পিএম

ঢাকাঃ মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর লাশ সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল, আর স্ত্রীর লাশ ছিল মেঝেতে চাদরে মোড়ানো।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার পর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের একটি ভবনের তিন তলার ফ্ল্যাট থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলেন- ভোলার লালমোহন উপজেলার সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ নোমান হোসেন (২৮) এবং তার স্ত্রী শামীমা (২২)। 

জানা যায়, সৌদি প্রবাসী নোমান হোসেনের সঙ্গে একবছর আগে বিয়ে হয় দুঃসম্পর্কের আত্মীয় শামীমার। বিয়ের পর সৌদি আরব চলে যান নোমান। গত ১০ সেপ্টেম্বর পরিবারকে না জানিয়ে তিনি দেশে ফেরেন। সেদিনই চলে যান স্ত্রী শামীমাকে আনতে ভোলার লালমোহনে। পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়া নেন মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে। একই বাড়ির পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন নোমানের দুজন বন্ধু।

বাড়ির লোকজনকে তথ্য গোপন করে দেশে ফেরা ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাসের রহস্যের বিষয়ে কিছুই জানেন না আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুরা। তবে বন্ধুদের দেওয়া তথ্য অনুসারে নোমান সবসময় হাসিখুশি মানুষ ছিলেন।

তবে শামীমার বড় ভাই শামিম জানান, নোমান সৌদি থেকে আসার আগে কারো থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছিলেন। এসব নিয়ে কলহ হতে পারে বলেও ধারণা তার। 

ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার মুজিব পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, রোববার দারোয়ান বাচ্চু মিয়ার কাছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সারাদিনেও না দেওয়ায় দারোয়ান রাতে তাদের ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডেকে আনে। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে দুজনকে মৃত অবস্থায় পায়।

তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও সিআইডির ফরেনসিক টিমের প্রাথমিক ধারণা দাম্পত্যকলহের কারণে স্ত্রী শামীমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন সৌদি প্রবাসী নোমান।

এমবুইউ