খালেদার সঙ্গে ‘সুখ-দুঃখের আলাপ’ হয়েছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২, ২০২০, ০৯:২৮ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : ঈদের রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠক শেষে বেরিয়ে গুলশানে খালেদার বাসভবন ফিরোজার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মহামারীর করোনার মধ্যে দুই মাসের বেশি সময় পর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

সাক্ষাতের সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন ।

বিএনপি নেতারা রাত ৮টায় ‘ফিরোজায়’ প্রবেশের পর পিপিই পরে দোতলায় ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসেন। পরে সেখানে আসেন নেত্রী খালেদা জিয়া।

দীর্ঘদিন পরের এই সাক্ষাতে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “আমরা কথা বলেছি ঈদের দিনে যেসব কথা বলা হয়। এতদিন ধরে আমরা একসাথে কাজ করছি, সকলের সুখ-দুঃখের কথা-বার্তা আছে।”

ফখরুল বলেন,“আপনারা জানেন ইতোমধ্যে আমাদের দলেরই অনেক নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাদের সম্পর্কে কথা হয়েছে, তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে, অনেকে চলে গেছেন। সব কিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে সুখ-দুঃখের আলাপ হয়েছে।”

বিএনপি চেয়ারপারসন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব ।
তিনি বলেন, “কোভিড সংক্রমণের বর্তমান যে অবস্থা, বন্যার যে অবস্থা, দেশের অর্থনীতির যে পরিণতি হতে যাচ্ছে- সে সম্পর্কে বিষদভাবে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা তাদের যে নিদারুণ কষ্ট আর কিছু দিন পরে কী অবস্থা দাঁড়াবে সে নিয়ে কথা হয়েছে।

দলীয় প্রধানের নির্দেশনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই কোভিডে জনগণের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা পরবর্তীতে যে সমস্যা দাঁড়াবে তার জন্য তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব কর্মীদেরকে-নেতাদেরকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।”

“আসলে ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে না। হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না এখন যে পরিস্থিতি চলছে। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থাটা ভালো না।”

উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাড়ি ফিরোজায় ওঠেন খালেদা জিয়া। তারপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।

জিয়া এতিমখানা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দি হন। বছরখানেক পুরান ঢাকায় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে ছিলেন তিনি। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বছরখানেকের মতো কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

আগামীনিউজ/এসপি