ঢাকায় যাদের জমি-ফ্ল্যাট, তারা সবাই কালো টাকার মালিক : অর্থমন্ত্রী

আগামী নিউজ ডেস্ক জুন ১৫, ২০২২, ০২:৪৭ পিএম

ঢাকাঃ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ঢাকায় যাদের জায়গা-জমি-ফ্ল্যাট আছে তারা সবাই কালো টাকার মালিক। এজন্য সরকার দায়ী, আমাদের সিস্টেম দায়ী।

বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় যাদের জায়গা-জমি বা ফ্ল্যাট আছে তারা সবাই কালো টাকার মালিক। এজন্য সরকার দায়ী, আমাদের সিস্টেম দায়ী। গুলশান এলাকায় কেনা কোনো জমির যে দাম দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় জমির প্রকৃত দাম তারচেয়েও বেশি। কিন্তু বেশি দামে তো রেজিস্ট্রি করতে পারবেন না। প্রত্যেকটা মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে রেজিস্ট্রি করা যাবে না। সুতরাং যেটি পারা যাবে না, কালো টাকা তো সেখানেই হয়ে আছে। কে কালো টাকার বাইরে আছে?’

দেশের আলোচিত একটি বিষয় বিদেশে টাকা পাচার। নানা উদ্যোগেও বিপুল অংকের এই টাকা ফেরত আনা যায়নি। এর মধ্যে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে। এই সুযোগ দেওয়া হলেও পাচার হওয়া অর্থ খুব একটা দেশে ফেরত আসবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা। তাদের মতে, যারা অর্থ বিদেশে পাচার করে তারা দেশে ফেরানোর জন্য করে না।

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কালো টাকা নয়, আমি বারবার বলি অপ্রদর্শিত টাকা। এখানে লাজ-লজ্জার কিছু নেই। সরকার এজন্য দায়ী। আমিও একসময় দায়িত্বে ছিলাম। ঢাকা শহরে জমির দাম বাড়ানো যায় কি না সেটা নিয়ে চিন্তা করলেও শেষ পর্যন্ত দাম বাড়াতে পারিনি। যে দাম ছিল সে দামই আছে।’

এ সময় অর্থমন্ত্রী জানান, বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা দেশে ফিরে এলে তার একটি অংশ পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগ হবে। তাতে পুঁজিবাজার লাভবান হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে যে ফ্ল্যাট ২ কোটি টাকায় রেজিস্ট্রি হচ্ছে সেই ফ্ল্যাটের দাম ১০ কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি রেজিস্ট্রেশন ফি পাচ্ছে না। এখানে টাকা হয়ে গেল কালো টাকা। এগুলো সবাইকে বুঝতে হবে। সবাই যার জায়গা আছে কত দিয়ে রেজিস্ট্রি করেছে এবং কতো টাকা বাজার দর সেটি বলতে পারবে। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে আমরা কোনো আলাপ-আলোচনা করলে সেটি বস্তুনিষ্ঠ হয়।’

এমবুইউ