অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে

প্রভাত আহমেদ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১, ০৬:৩৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ দেশে যেন অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে। অনিয়মের একটা বড় ‘সুবিধা’ হচ্ছে, সেটা আরো বড় অনিয়মের জন্ম দেয়। অর্থাৎ এই ধরনের অনিয়ম থেকে অনেকেই লাভবান হয়। ফলে অনিয়ম বন্ধ হয়ে গেলে যদি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কে নিয়মে ফিরতে চাইবে?

এই যেমন, নিয়ম হচ্ছে, মোটরসাইকেল চালালেই চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান চালালে রয়েছে জেল-জরিমানার বিধান। ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে এ শাস্তি আরো কঠোর হয়েছে। তারপরও কমেনি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া যান চালানোর প্রবণতা। আর চলাচলকারী যানের মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রেই আইন অমান্যের এ প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। 

বেসরকারি তথ্য বলছে, ২০২০ সালে দেশে যত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার ২৭ শতাংশই হয়েছে মোটরসাইকেলে। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন লাইসেন্সবিহীন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা। অপরদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখ ২৫ হাজার। বিপরীতে ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যা ১৭ লাখ ৫৩ হাজার। সংখ্যার হিসাবে প্রায় ১৪ লাখ মোটরসাইকেল চালকের লাইসেন্স নেই। তবে অনেকে মনে করে, এই সংখ্যাটি আরো বেশি। 

তবে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইসেন্সে ফাঁকির সুযোগ আছে বলেই কিন্তু চালকরা লাইসেন্স নেয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, লাইসেন্স গ্রহণের সময় গ্রাহক ভোগান্তি। এখানে প্রক্রিয়াটি এত জটিল আর দুর্নীতিতে পূর্ণ করে রাখা হয়েছে যে চালকরা লাইসেন্স করাতে আগ্রহী হন না। কিংবা আগ্রহী হলেও ভোগান্তির কারণে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। এ অবস্থা বদলানোর জন্য বিআরটিএতে বড় ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

আগামীনিউজ/প্রভাত