সেলাই করছেন-মাছ ধরছেন, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরাল

ডেস্ক রিপোর্ট নভেম্বর ২১, ২০২০, ০৮:০০ পিএম
সংগৃহীত

ঢাকাঃ ‘সকালে উঠে আমি জায়নামাজ খুঁজি। সকালে উঠে আগে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে কোরআন তিলাওয়াত করি। তারপর এক কাপ চা নিজে বানাই। সকালের চা আমি নিজে বানিয়ে খাই। চা-কফি যাই বানাই নিজে বানিয়ে খাই। ছোট বোন বাসায় থাকলে দুজনের যে আগে ওঠে সে বানায়। মেয়ে পুতুল আছে। সেও আগে উঠলে বানায়। তার আগে ঘুম থেকে ওঠার পর নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি। এরপর বই-টই যা পড়ার পড়ি। আর ইদানীং করোনাভাইরাসের পরে সকালে একটু হাঁটতে বের হই। তবে আরেকটা কাজ করি এখন। সেটা বললে কী হবে (হেসে ফেলেন)। গণভবনে একটি লেক রয়েছে। হাঁটার পরে লেকের পাড়ে যখন বসি, তখন ছিপ নিয়ে বসি। মাছ ধরি।’

গত ৯ সেপ্টেম্বর (বুধবার) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূরক প্রশ্ন করে বলেন, তিনি ঘুম থেকে উঠে মোবাইল ফোন খোঁজেন, তার মা ঝাড়ু খোঁজেন। প্রধানমন্ত্রী ঘুম থেকে উঠে কী খোঁজেন তা জানতে চান তিনি।

দেশের রাষ্ট্রীয় কাজ সামলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবসর সময় কীভাবে কাটান সেটা অনেকেরই জানার ভীষণ কৌতূহল। তবে অন্য দশজন মানুষের মতো তার জীবন না কাটলেও ব্যস্ত সময়ের মধ্যে তিনি কখনও কখনও সাদাসিদে আটপৌড়ে জীবন যাপন করেন।

শনিবার (২১ নভেম্বর) তার দুটি ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে কৌতূহল যেন আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ছবি দুটি পোস্ট করা হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি মাথায় হ্যাট পরে গণভবনের পুকুরে বড়শি দিয়ে তেলাপিয়া মাছ ধরে পারে তুলছেন। আরেকটি ছবিতে তিনি সেলাই মেশিনে নিজের পোশাক সেলাই করছেন।

৭৪ বছর বয়সী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন সহজ-সরল সাদামাটা জীবন যাপন করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ছবি দুটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘সাধারণ বাঙালি নারী আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। নানা ব্যস্ততার মাঝে তিনি অবসর পেলেই সেলাই করেন কাপড় আর মাছ ধরতে যান গণভবনের পুকুরে। সব হারিয়ে দেশের জন্য সারাদিন কাজ করে যাওয়া এই অনন্য সাধারণ মানুষটির জন্য অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।’

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পোস্ট করার পর দ্রুতই ছবি দুটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। আধা ঘণ্টার মধ্যে পোস্টে দশ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া পড়ে। আর শেয়ার হয় পাঁচ শতাধিক বার।

আগামীনিউজ/এএস