মহব্বত

ড. নিম হাকিম সেপ্টেম্বর ৮, ২০২০, ০৬:৩১ পিএম
ফাইল ছবি

মহব্বত সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে হুজুর একদিন বললেন- "বাবা মহব্বত কি আর এমনিতে পয়দা হয়? আল্লাহর সাথে মহব্বত করতে হলে আল্লাহর আদেশ পালন করতে হয়। তেমনিভাবে রসুল (সাঃ) এর সাথে মহব্বত করতে হলে তার সুন্নত পালন করতে হয়। আর পীরের সাথে মহব্বত করতে হলে তার সহবত এবং তার আদেশ পালন করতে হয়। আসলে আল্লাহ, আল্লাহর রসুল এবং সৃষ্টিই হল আল্লাহর প্রকাশ"।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুন, রাত ১০টার দিকে আমি এবং হুজুর তার মেয়ের বাড়িতে বসা। হুজুর বললেন- 'বাবা, একজন মাতা-পিতা তার সন্তানকে যতটুকু ভালবাসে তার চেয়ে বেশি ভালোবাসে পীর তার মুরিদকে, তার চেয়ে বেশি ভালোবাসে নবী (সাঃ) তার উম্মতকে, তার চেয়ে বেশি ভালোবাসে আল্লাহ তার বান্দাকে - সোবহানাল্লাহ।" আরও বললেন- 'বাবা, আমার পীর একদিন আমাকে দুই ঠোঁট হাত দিয়ে ধরে বলেছিলেন, বাবা, স্ত্রী-পুত্র আর দুনিয়ার সবকিছুর প্রতি ভালোবাসা এই দুই ঠোঁটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, কোন সময়ে অন্তরে নয়। আর অন্তরের ভালোবাসা একমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রসুলের (সাঃ) জন্য'। আরও বললেন- 'বাবা আমাদের আসলে কোন অস্তিস্ত্ব নাই, সব অস্তিত্বই আল্লহর'। এরপর হুজুর বললেন- "বাবা, স্ত্রীর ভালোবাসা আর চাকরানীর ভালোবাসা কি এক? চাকরানী অধীন বলে তার ভালোবাসা না বাসায় স্বাধীনতা নাই অর্থাৎ সে সুযোগ আছে, তার নিজের কোন মতামত নাই। কিন্তু স্ত্রীর সে সুযোগ আছে, তাই স্ত্রীর ভালোবাসা বৈধ। আল্লাহ মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। এই কারণে যে, তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আল্লাহর এবাদত করে কিনা। আল্লাহ জোর করে ভালোবাসা চায় না"।  

আগামীনিউজ/ড্যানি