রসুলে পাক (সাঃ)

এস এ চৌধুরী এপ্রিল ২৩, ২০২০, ০৯:৩৭ পিএম

২। রসুলে পাক (সাঃ): একদিন আমি এবং হুজুর নামাজ পড়ছি। হুজুর সালাম
ফিরিয়েই বললেন- “বাবা, “হুজুর (সাঃ) আল্লাহর অংশ নয়, আবার আল্লাহর থেকে আলাদা বা জুদাও নয়’

১৯৮৯ সালের জুলাই মাসের বিকাল ৬.১৫টায় কথা হচ্ছিল কাফের ও মুশরেক সম্পর্কে। পীর সাহেব বললেন-“যে শুধু আল্লাহকে বিশ্বাস করে, হুজুর (সাঃ)
কে বিশ্বাস করে না তারা কাফের । আসলে হুজুর (আঃ) কে বিশ্বাস করার নামই ঈমান এবং ঈমানদারই মমিন ।

হুজুর (সাঃ) কে বিশ্বাস করলেই আল্লাহকে বিশ্বাস করা হয়। কারণ তিনি আল্লাহর প্রেরিত রসুল। অপরদিকে শুধু আল্লাহকে বিশ্বাস করলেই হুজুর (সাঃ) কে বিশ্বাস করা
হয় না, তাই তারা কাফের। যেমন ইহুদীরা সমস্ত নবীকে বিশ্বাস করে শুধু হযরত ইশা (আ:) কে বিশ্বাস করে না।

আবার খ্রিস্টানরা সমস্ত নবীকে বিশ্বাস করে, কিন্তু হযরত মুহম্মদ (সাঃ) কে বিশ্বাস করে না। তাই তারা কাফের,যদিও উভয় সম্প্রদায়ই আহলে কেতাব”।

এরপর আলাপ হলো কাউয়ালী সম্পর্কে। পরিশেষে হুজুর পাক (সাঃ) এর আলাপ প্রসঙ্গে বললেন- “মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) খোদাকে চিনেন, খোদা মোহাম্মদ (সাঃ)
কে জানেন। বেলাল যেভাবে হুজুর (সাঃ) কে চিনেছিল,সেভাবে ওমর (রা:) চিনে নাই। আবার হযরত আবু বকর (রা:) যেভাবে চিনেছিল, হযরত ওসমান (রা:)।
সেভাবে চিনে নাই”।

সালাম বিনিময় করে আসার সময় হুজুর বললেন- ‘বাবা আমি চাই, তোমার দ্বারা তরীকত আর হাকিকতের কাজ হোক’।


স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য নাই। আল্লাহ এবং মানুষের সম্পর্ক হলো- মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি, আল্লাহর চরিত্রে তাকে চরিত্রবান হতে হবে। মানুষ আল্লাহ হতে পারে না, তবে আল্লাহর গুণাবলী অর্জন করতে পারে”।
 

সংকলনঃ ড. নিম হাকিম