বগুড়াঃ দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এল শরৎ। শরতের অপেক্ষায় থেকেছি অনেক দিন। আজ সোমবার শরতের প্রথমদিন (১ ভাদ্র) খুব সকাল থেকেই ঝরেছে অনেক বৃষ্টি। মেঘের ভেলায় চেপে রিমঝিম বৃষ্টির ছন্দময়তার সাথে শরৎ নেমেছে প্রকৃতির বুকে।
শরৎ ঋতুর খোলা আকাশে সাদা ভাসমান মেঘের ভেলার সাথে যোগ হয় মনের কল্পনাগুলি। বিচ্ছুরিত মনের ভাবনাগুলো যেন শরৎ প্রকৃতির বাতাসে দোলায় ছড়িয়ে পড়া হাস্নাহেনা ফুলের সুবাস। প্রকৃতির সজীব আঁচড়ে ভাবনাগুলো তাই কবিতা হয়ে ঝরে পড়ে নিমিষে।
শরতের জোৎস্নামাখা রাতের নির্জনতায় ঝিঁঝিঁ পোকার গানে মুখরিত চারিদিক আহবান করে জীবনের মানে খোঁজার। স্থবিরতা ভেঙ্গে জীবন হয়ে ওঠে অর্থবহ। কাশফুলের উচ্ছাস্বিত আগমনে মনের মরুভূমিতে সজীবতা ফিরে আসে। অঙ্কুরিত হৃদয় হয়ে ওঠে প্রাকৃতিক ক্যানভাস।
শরতের মিলমিলে বাতাসে নদীর জলে দোলা লাগে। সোনালী রোদে নদীর জলের উপর নিজের ছায়া দেখে নিজেকেই খুঁজতে অন্বেষিত হতে হয় বারবার। পাখির কলবরে মুখর শরতের সকাল নতুন বার্তা ছড়ায় প্রকৃতিতে। শরৎ রাঙা প্রকৃতির মাঝে সঁপে দিতে ছুটে যায় অতি আকাঙ্খিত মন।
প্রাণের শরৎ ( ভাদ্র- আশ্বিন) তোমায় স্বাগতম।