সেবার নামে ডাক্তার হয় যখন কসাই
দরিদ্রের প্রতি সহানুভূতি নেই, আছে শুধু টাকা কামাই।
দরিদ্রের অর্থে ডাক্তার হয়ে দরিদ্রের রক্ত চুষে খায়
মানবতা আর সেবার শপথ নিয়ে, এ কি অন্যায়!
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পবিত্র আদালত
উকিল যখন সাক্ষীতে পবিত্র শপথ নিয়ে মিথ্যে শেখায়।
দরিদ্র মানুষ মিথ্যের বেড়াজালে
তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়
তাইতো বলে বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে।
মাস্টার মশাই কত না শ্রদ্ধার ব্যক্তি
সরকারি বেতন খায় আর বসে বসে টিউশনি পড়ায়
সন্তানতুল্য ছাত্রীকে ধর্ষণ করে
নৈতিকতা বলে কোন কিছুই নেই।
দরিদ্র বাবার ঘামের টাকায়
অফিসার কিংবা কেরানি
সরকারি খাতায় নাম লেখায়েই দামি।
নির্লজ্জভাবে পরিবর্তন করে শ্রেণী
ভাবে আমরা হলাম সরকারি লোক
আর সব লোক আমাদের কেরানী।
দুর্নীতি-ঘুষ এসব আমাদের নজরানা
নয় কোন হারাম খানা
এতে কি আসে যায়।
যারা ঔষধ-খাদ্যে ভেজাল মেশায়
তাদের নেই কোন মানবতা, নেই নৈতিকতা
কত বড় অমানুষ শুধু টাকার নেশায়।
কেউ আবার গায়ে উদি লাগিয়ে
ভাবে আমরা হলাম শাসনকর্তা
সর্বজনের একমাত্র ত্রাণকর্তা।
নিমিষেই মানুষের শ্রেণী পরিবর্তন
শুধুই নিজের গুণকীর্তন
একি সহজে মেনে নেয়া যায়?
সে যে গ্রামের কৃষকের সন্তান
এক নিমিষেই তা ভুলে যায়
এটা বড়ই অন্যায়।