পরীমনির রিমান্ড: দুই বিচারকের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আজ

আদালত ডেস্ক নভেম্বর ২৫, ২০২১, ১০:২৯ এএম
চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই বিচারকের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আজ।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ৩১ অক্টোবর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির কয়েক দফা রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই বিচারক (ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন।

ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে তারা সতর্ক থাকবেন বলে অঙ্গীকারও করেছেন। এরপর শুনানি নিয়ে তাদের বিষয়ে আদেশ দিতে ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

দুই বিচারক হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে এ ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন।

এর আগে, ২৪ অক্টোবর নায়িকা পরীমনির রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারককে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন হাইকোর্ট।

নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ সময় মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এদিন ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারকের পক্ষে এক সপ্তাহ সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং তার সঙ্গে ছিলেন সৈয়দা নাসরিন।

গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় তাকে। এরপর পরীমণিকে মোট ৩ দফায় চার দিন, দুইদিন ও একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস দ্বিতীয় দফায় দুই দিন এবং আতিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর এক আদেশে পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার রিমান্ড মঞ্জুর করার বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামকে ১০ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেন হাইকোর্ট। এরপর দুই বিচারক হাইকোর্টে তাদের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তবে তাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। ব্যাখ্যার বিষয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বলেন, 'হাইকোর্টকে অবজ্ঞা করেছেন এই দুই বিচারক।'

ব্যাখ্যার বিষয়ে আদালত আরও বলেন, ‘ত্রুটি হয়েছে যে তা ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বাস করেন না। হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন করা হয়েছে।’

পরে বিষয়টি নিয়ে ফের ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট এবং পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন ২৯ সেপ্টেম্বর। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে হাইকোর্ট দুই বিচারককে পুনরায় ব্যাখ্যা দিতে বলেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

আগামীনিউজ/বুরহান