পাকিস্তানে বন্দুকধারীদের হামলায় ২ সেনা সদস্যসহ নিহত ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ৩, ২০২৩, ১০:০৭ এএম
হামলার শিকার বাসটি কারাকোরাম হাইওয়ে দিয়ে যাতায়াত করছিল। এই হাইওয়েটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সড়কগুলোর একটি (ফাইল ছবি)

ঢাকাঃ পাকিস্তানে বন্দুকধারীদের হামলায় ৮ বাসযাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৬ জন যাত্রী। পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বাসে হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দেশটির দুজন সেনা সদস্যও রয়েছেন বলে জানা গেছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় চিলাস শহরের কাছে বন্দুকধারীরা একটি বাসে হামলা চালিয়ে আট যাত্রীকে হত্যা করেছে বলে জেলা ও আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শনিবারের এই হামলায় প্রায় দুই ডজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ আলী জোহর বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় হামলাকারীরা বাসে গুলি চালানোর পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

গিলগিট-বাল্টিস্তান পুলিশের মুখপাত্র গোলাম আব্বাস ডিপিএ নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে দুজন সেনা সদস্যও রয়েছেন। আব্বাসের মতে, হামলায় আরও ২৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, হামলার শিকার বাসটি কারাকোরাম হাইওয়ে দিয়ে যাতায়াত করছিল। এই হাইওয়েটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সড়কগুলোর একটি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত হামলাকারীরা বাসে গুলি চালানোর পর একপর্যায়ে এটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা খায়।

কোনও গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি এবং যাত্রীবাহী বাসে গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যও এখনও পর্যন্ত অস্পষ্ট। গিলগিট-বাল্টিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হাজি গুলবার খান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আক্রমণে জড়িত সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করবে সরকার।’

উল্লেখ্য, চিলাস শহরটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কাছে গিলগিট বাল্টিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে সন্ত্রাসী হামলা বেশ বেড়েছে।

এর মধ্যে কিছু হামলার জন্য পাকিস্তানি তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দায় স্বীকার করেছে।

এমআইসি