রিহ্যাব থেকে ফিরেই বাবা-মা-সহ পরিবারের চারজনকে খুন

নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ২৩, ২০২২, ০৫:৪০ পিএম

ঢাকাঃ ভারতে পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফেরার কয়েকদিন পর এক মাদকাসক্ত তরুণ তার পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার নয়াদিল্লির পুলিশ বলেছে, কেশব (২৫) নামের ওই তরুণ তার বাবা-মা, বোন এবং দাদিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, রাজধানী নয়াদিল্লিতে যখন ভয়াবহ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে, তখন মাদকাসক্ত ওই তরুণের বিরুদ্ধে পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির পালামে নিজেদের বাড়ি থেকে ওই চারজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর কেশবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের হত্যার সময় ধারালো কোনও বস্তু দিয়ে গলা কেটেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার ভয়াবহতার কথা তুলে ধরে পুলিশ বলছে, নিহত প্রত্যেকের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

যাদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা হলেন কেশবের দাদি দিওয়ানা দেবী (৭৫), বাবা দীনেশ (৫০), মা দর্শনা ও ১৮ বছর বয়সী বোন উর্বশী। তাদের প্রত্যেকের মরদেহ আলাদা আলাদা কক্ষে পাওয়া গেছে।

কেশবের বাবা-মায়ের মরদেহ বাথরুম এবং দাদি ও বোনের মরদেহ ভিন্ন ভিন্ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ বলেছে, এক মাস আগে গুরুগাঁওয়ের এক সংস্থা থেকে চাকরি ছেড়েছিলেন কেশব। দিওয়ালির সময় থেকেই বেকার ছিলেন তিনি। পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার সময় তার মাঝে মাদকের প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই ভবনের অন্য বাসিন্দারা কেশবদের বাসা থেকে চিৎকার শুনতে পান। পরে তারাই এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কাছে ফোন করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর কেশব বাড়িতেই ছিলেন এবং পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু স্বজনরা তাকে ধরে ফেলেন এবং পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

শ্রদ্ধা ওয়াকার নামের এক তরুণীকে তার সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালা দিল্লির বাড়িতে টুকরো টুকরো করে হত্যার ঘটনা প্রকাশের এক সপ্তাহের বেশি সময় পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো। আফতাব পুনাওয়ালা তার সঙ্গীকে হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দিয়েছিলেন। দিল্লির চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামি আফতাব বর্তমানে পুলিশি জিম্মায় রয়েছেন।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএস