করোনাভাইরাস বিশ্ব পরিস্থিতি

বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ৩১, ২০২২, ০৮:৪৭ এএম

ঢাকাঃ বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লাখ ১১ হাজার ৫৮৬ জনের। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ৫৩ কোটি ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ১০২ জনের। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ২১৬ জনের বেশি মানুষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭১০ জন এবং মারা গেছেন ১ জন। পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭০ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬০ হাজার ১০৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১৬৫ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ৫৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩১ হাজার ২৮৬ জন মারা গেছেন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৯ জনের।

জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৪০৬ জন এবং মারা গেছেন ৮৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার ২৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯ জন মারা গেছেন।

ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮৪ হাজার ১১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৫১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৪ হাজার ১৬৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন।

ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫৩৭ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৮২৮ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৮২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৮ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৮৩৩ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮২ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৬১১ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৬০৪ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। একই সময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯০১ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। গ্রিসে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪০০ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। 

মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। এমন অবস্থার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। 

এমবুইউ