পি কে হালদারকে তোলা হচ্ছে আদালতে, ফের রিমান্ড চাইতে পারে ইডি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ২৭, ২০২২, ১১:২০ এএম

ঢাকাঃ বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ পাঁচজনের ফের রিমান্ড চেয়ে আজ আদালতে তুলবে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

শুক্রবার (২৭ মে) পি কে হালদারসহ গ্রেফতার পাঁচজনকে দুপুর ২টার পর কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে স্পেশাল সিবিআই ১ নম্বর কোর্টে বিচারক মাসুক হোসেইন খানের আদালতে তোলা হবে। এসময় তাদের আবার রিমান্ড চাওয়া হবে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে।

গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামরার পলাতক আসামি পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এসময় তার সহযোগীদেরও গ্রেফতার করা হয়।

দেশটির গণমাধ্যমের খবর বলছে, অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে পি কে হালদারসহ গ্রেফতার ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, প্রাণেশ হালদার, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে।

এছাড়াও আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য আবেদন করা হবে।

২০২০ সালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার নামে-বেনামে পিপলস লিজিংসহ নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পালিয়ে যান পি কে হালদার। ওই বছরের ৮ জানুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে ভারতে গা ঢাকা দিয়ে ব্যবসা পেতে শুরু পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইডি গত ১৪ মে গভীর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে।

এর আগে তিনি কানাডাতেও তিনি অবস্থান করেছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।।

এদিকে গ্রেফতারের পর পি কে হালদার ও তার ৫ সহযোগীকে আদালতে তোলা হলে প্রথমে তিনদিন ও দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে লোপাট করে আনা অর্থ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় নামিদামি অনেক ব্যক্তির নাম ওঠে এসেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেও তদন্তের স্বার্থে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের আবারও রিমান্ড আবেদন করতে পারে ইডি।

এদিকে পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে একাধিক মাধ্যমে চেষ্টা শুরু করেছে বাংলাদেশ। দুদকের পক্ষ থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে।  তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে।

এমবুইউ