ফ্রান্সে দৈনিক সংক্রমণ ছাড়াল ৫ লাখ, মৃত্যু বেশি যুক্তরাষ্ট্রে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ১২:০২ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে ফ্রান্সে। দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৬৩৫ জন। এসময়ে ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৪৬৭ জন। তবে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণে ফ্রান্স শীর্ষে থাকলেও সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

এর আগে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফ্রান্সে দৈনিক শনাক্ত প্রায় পৌনে পাঁচ লাখে পৌঁছেছিল।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ফ্রান্সে ৫ লাখ ১ হাজার ৬৩৫  জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটির ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ড। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ফ্রান্সেই দৈনিক বিপুল সংখ্যক মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহজুড়ে দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

দেশটিতে বর্তমানে ৩০ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে এই সংখ্যাটি বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ জনের কিছু বেশি মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন।

করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের কারণেই দেশটিতে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক হলেও ডেল্টা ধরনের তুলনায় কম বিপজ্জনক।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬৪ জন। এতে করে করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৯ জনে।

করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই গত সোমবার থেকে ফ্রান্সে নতুন করোনা বিধি কার্যকর করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বার ও রেস্টুরেন্টে প্রবেশ এবং ট্রেন ও বিমানে ভ্রমণের জন্য মানুষকে করোনা টিকা নিতে হবে। অর্থাৎ করোনার টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাই কেবল এসব সেবা নিতে পারবেন।

এদিকে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসময়ে মারা গেছেন আরও ২ হাজার ৩৮৬ জন। দৈনিক সংক্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও প্রাণহানিতে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রাণঘাতি এ মহামারি শুরুর পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫৫ জন।

আগামীনিউজ/নাসির