ঢাকা : চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে আরোপিত নতুন সুরক্ষা আইনের প্রতিবাদে নিউজিল্যান্ড তার মিত্র দেশগুলোর মতোই এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স স্থগিতাদেশ কারণ হিসেবে বলেছেন, নিউজিল্যান্ড আর বিশ্বাস করতে পারে না যে হংকংয়ের অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থা চীন থেকে যথেষ্ট স্বাধীন। আর এ পরিস্থিতিতে বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ওয়েলিংটনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিবেচনা করে দেশটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
পিটার্সের মতে, দেশটি হংকংয়ে সামরিক এবং দ্বৈত্য ব্যবহার্য পণ্য রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরদার করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে কিউই নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা বাড়িয়েছে।
পিটার্স বলেন, হংকংয়ে নতুন জাতীয় সুরক্ষা আইন পাস করার ফলে আইন-শৃঙ্খলা নীতিগুলি নষ্ট হয়ে গেছে, 'এক দেশ, দুটি ব্যবস্থা' কাঠামো ক্ষুন্ন হয়েছে যা হংকংয়ের স্বাধীনতা খর্ব করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে চীন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা ভঙ্গ করেছে।
এর আগে কানাডা, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা জোটের মতো নিউজিল্যান্ডের অংশীদার যারা তারাও একই পদক্ষেপ নিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও খুব শিগগিরই একই পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে।
ওয়েলিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস স্থগিতাদেশের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, তবে এই মাসের শুরুর দিকে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, সুরক্ষা আইনের জেরে বেইজিংয়ের উপর চাপ দেয়ার চেষ্টাতে তারা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসাবে গণ্য করা হবে। সূত্র : ইয়ন
আগামীনিউজ/এসপি