সোনাপাতা

ডঃ নিম হাকিম জুলাই ২৬, ২০২১, ১২:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

পরিচিতিঃ (Botanical Name: Cassia angustifolia Vahl., Common Name: Sonapata/ Sonamukhi, English Name: Senna/ Tinavele Senna, Family Name: Cassalpincae)

সোনাপাতা বর্ষজীবি এবং ২ থেকে ৩ ফুট উঁচু উদ্ভিদ। পাতার ডাটার দু’দিকে ৭ থেকে ৮ জোড়া পত্র থাকে। পাতা ছোট মিন্দিপাতা বা তেঁতুল পাতার মত ক্রমশঃ আগার দিকে সরু। ফুল হলুদ বর্ণের হয়। পত্র গাছকে টিনেভেলী সিনা বলা হয়। সোনাপাতা আরব দেশের জঙ্গলে বেশ হয়।

প্রাপ্তিস্থানঃ সোনাপাতা বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জন্মে।

চাষাবাদঃ বীজ থেকে চারা তৈরী করে এর চাষাবাদ হয়।

লাগানোর দূরত্বঃ ৪ থেকে ৬ ফুট।

উপযোগী মাটিঃ বেলে দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়।

বীজ আহরণঃ জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসে ফল পাকলে গাছ থেকে সংগ্রহ করে রোদে শুকালে ফল ফেটে তা থেকে বীজ বেরিয়ে আসে।

প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ প্রায় ৮ হাজার।

প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ বীজ সংগ্রহ করে পরিষ্কার করে ছায়াযুক্ত রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। বীজের আর্দ্রতা কমে কিছুটা গাঢ় বর্ণ ধারণ করলে প্যাকেটজাত করতে হবে।

ব্যবহার্য অংশঃ পাতা ও ফল।

উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ সোনাপাতা সর্বপ্রকার ধাতুরসের পরিশোধক হিসাবে কাজ করে এবং মস্তিষ্ক পরিষ্কার করে। শীতলজনিত রোগ- গেটে বাত, পুরাতন ব্যথা ও মৃগী রোগে উপকারী এবং কৃমি নাশক হিসাবে সোনাপাতা ব্যবহার হয়।

কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ

  • শীতলজনিত রোগ- গেটে বাত, পুরাতন ব্যথা ও মৃগী রোগে উপকারি।
  • পরিমিত মাত্রায় ৩ মাস সেবনে গেটে বাত ভাল হয়।

পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ এক বছর।

অন্যান্য ব্যবহারঃ পশুখাদ্য হিসেবে সোনাপাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বছরে ৪০,০০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।