ঠাকুরগাওয়ে শেষ মুহূর্তে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট পশুর হাট

শামসুল আলম,ঠাকুরগাঁও জুলাই ১, ২০২২, ০৬:৪৮ পিএম

ঠাকুরগাঁওঃ ঈদুল আজহার বাকি মাত্র কয়েক দিন।ঠাকুরগাঁওয়ে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে আসন্ন ঈদুল আজহার পশুর হাট। ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় গরুর দাম কিছুটা কমে গেছে। এতে হতাশাগ্রস্ত খামারি ও কৃষকও । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রোদ,বৃষ্টি গরমের মধ্যেই হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে তবে খুব কম। জেলার লাহীড়ি ,মাদারগঞ্জ ,খোচাবাড়ী , কাতিহার হাট সহ জেলার সকল পশুর হাট গুলো সরগরম হয়ে উঠেছে ।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে পশুর হাটগুলো জমে উঠা শুরা করছে। তবে এসব হাটে পুরো পুরি ভাবে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি ।

প্রতি বছর কোরবানির সময় হাট গুলোতে প্রখর রোদেও বৃষ্টির মধ্যে কেনা বেচা চলে অবিরাম, প্রচর আমদানির কারনে পশু রাখার ঠাই পর্যন্ত থাকেনা এবার ওতেমন চিত্র দেখা যায়। হাটে । গত ৩০ জুন বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ আজ শুক্রবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাইরী হাট এবং ঠাকুরগাঁওয়ে খোচাবাড়ি ও বৃহস্পতিবার মাদারঞ্জ হাটে ঘুরে দেখা যায়,সীমান্তবর্তী এ জেলায় এ বছর ভারতীয় গরুর আমদানি কম ।হাট-বাজার দখল করে রেখেছে দেশীয় গরু।হাটে বিপুল পরিমান বিভিন্ন জাতের দেশি ও বিদেশি গরু আমদানি করা হয়।বাজরে বড় লাল গরু (লালু)ব্রিক্রেতারা হাঁকছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার।এছারা বাজারে সব ধরনের ছোট বড় গরু ক্রয় বিক্রয় করা হয়। যার কোনটি কুরবানির পশুর দাম দাম ৩৫ হাজার । যার কোনটি কুরবানির পশুর দাম ৫০ হাজার আবার কোনটি ৬০-৭০ হাজার আবার কোনটি কুরবানির পশুর বিক্রী হচ্ছে দেড় লক্ষ টাকায়।

সদর উপজেলার ব্যবসায়ী হায়দার আলী। তিনি জানান, ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা মোটেও সুবিধা করতে পারেনি তিনি জানান, ঈদকে ঘিরে গত বছর ভারতীয় গরর অনেক চাহিদা থাকলে ও এবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এবার বাজারে ভারতীয় গরর চাহিদা অনেক কমে গেছে। ক্রেতারা দেশীয় গরু খুজছেন সবার আগে। কিন্তু বর্তমানে দেশে বন্যার প্রভাবে দুর ক্রেতা না আশায় একটু দাম কম।গরু বেশি দামে কেনা থাকায় লোকসানের মধে আমরা।

নজরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা জানান, দেশি গরু কিনতে চাই। গত বছরের তুলনায় এবার গরর দাম একটু বেশি। এবছর বছর যে ১০০ কেজি ওজনের ১টি গরু কিনতে ৬০ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে, গতবার সেই গরু ছিল ৫৮ হাজার টাকা। তবে মাংশের দামের তুলনায় এবার একটু হলেও গরার দাম কম।আবার ২০০ কেজি ওজনের একটি লাল গরুর দাম হাঁকছে১ লক্ষ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০হাজার টাকায়।বাজারে গরুর রং ,মাংশের ওজন ও কুরবানি করার উপযোগী ভালো গরুর দাম ও চাহিদা একটু বেশি। কুরবানি করার উপযোগী ১২-১৪ কেজি ওজনের ১টি খাশি ছাগল বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ হাজার টাকায়।আবার বিক্রেতারা ২০ থেকে কেজি ২৫ওজনে একটি লাল রাম ছাগলের দাম হাঁকছেন ২৫-২৬ হাজার টাকায়।

ঠাকুরগাওয়ে সদরের খোচাবাড়ি হাটে কথা হয় বিক্রেতা আইয়ুব আলীর সক্সেগ সঙ্গে। তিনি জানান, সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া নজরদারির কারণে ভারতীয় গরু তেমন আসতে পারেনি। এতে অনেক খুশি খামারীরা। কিন্তু  বন্যা ও প্রভাবে ক্রেতা ও ভালো দাম না পাওয়ায় হতাশ তারা।ঠাকুরগাওয়ে খামারীরা জানায়, গত বছরের তুলনায় দাম একটু কম। কারন বর্তমানে দেশে বন্যার প্রভাবে দুর ক্রেতা না আশায় একটু দাম কম।

লাইড়ি হাটের ক্রেতা মো: বদিরূল ইসলাম বলেন শুক্রবার হাটে যে গরুর দাম ছিল ৬০ হাজার সেই গরু আজ প্রায় একটু কম দামে বিক্রি হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন।মাংশের তুলনায় হাটে গরুর দাম একটু কম।

ঠাকুরগাঁও জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় পারিবারিক খামার মিলেও গরুরখামার সংখ্যা ১৭,২৫০।এবার আর কুবানী যোগ্য পশুর সংখ্যা ৯৬,১০৯ টি ।আর গত বছর কুরবানিতে জবাই করা হয়েছিল অসংখ্য। জেলায় কুরবনী করার জন্য পশুর চাহিদা ৬৩,০০০ হাজার। এবার জেলায় চাহিদা পুরন করে অন্য জেলাই পশু বিক্রী করা সম্ভব বলে জানান তিনি।। ঈদে ক্রেতারা যাতে সুস্থ সবল গরু পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই অনেক আগে থেকেই খামারীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাছারা কোবানির হাট গুলোতে তাদের মেডিকেলটিম কাজ করছে।

ঠাকুরগাওয়ে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কোরবানী উপলক্ষে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার এই হাট গুলো চলছে।এছারা শান্তি বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তত রয়েছে। হাট-বাজারসহ সর্বত্র পুলিশের ব্যাপক নজরদারি রয়েছে।

এসএস