দুপচাঁচিয়ায় সোনার মূর্তি প্রতারক চক্রের আরও ১ সদস্য আটক

উপজেলা প্রতিনিধি, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) : জুন ২৬, ২০২২, ০৯:৪৪ পিএম

বগুড়াঃ সোনার মূর্তি বিক্রয়ের নামে অভিনব কায়দায়  সহজ সরল মানুষদের টার্গেটে নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে ৯ জুন দায়েরকৃত মামলায় তদন্তেপ্রাপ্ত প্রতারক চক্রের আরও ১ সদস্য কে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ জুন) মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়।

আটক ওই ব্যক্তির নাম মজনু মিয়া (৪০)। সে দুপচাঁচিয়া উপজেলার ঝাঁঝিড়া পোড়াপাড়ার মৃত মিশরত আলীর ছেলে।  অাটক ব্যক্তি কে রোববার (২৬ জুন) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানায়,  ইতোপূর্বে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় প্রতারণার উদ্দেশ্যে নকল সোনার মূর্তি হেফাজতে রাখার দায়ে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য কে আটক করে  র‌্যাব-১২। বুধবার (৮ জুন) মধ্যরাতে তাদের দুপচাঁচিয়া উপজেলার খোলাশ গ্রামের একটি বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটককালীন সময়ে ৪.৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ২.৭ ইঞ্চি প্রস্থের ৪ টি নকল সোনার মূর্তি, ৪ টি মোবাইল ফোন, ১ টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও নগদ ৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তখন আটককৃত হয়, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার খোলাশ মধ্যপাড়ার মৃত মোকসেদ আলীর কণ্যা মোমেনা বিবি (৩৫), বর্তমানে খোলাশ মধ্যপাড়ায় বসবাসরত কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত সমসেদ প্রাং এর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৮), দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালুচ গ্রামের মৃত অছিমদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৬০) এবং একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শামসুল ইসলাম (৩২)।

এ সংক্রান্তে  ৯ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপচাঁচিয়া থানায় একটি প্রতারনা মামলা (নম্বর ৮) দায়ের করা হয়।

দায়েরকৃত মামলার বরাতে জানা গেছে, বুধবার (৮ জুন)  রাতে দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় টহল ডিউটিকালে প্রতারণার উদ্দেশ্যে নকল মূর্তি রাখার গোপন খবরে খোলাশ গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১২ এর একটি আভিযানিক দল। অাভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় ৪ জন কে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব-১২। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক ৩ টি নকল সোনার মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এসময় ১ সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ উদ্ধারকৃত সোনার মূর্তি জব্দ করা হয়।

দেওয়ান পলাশ/এসএস