বিয়ের দাবিতে মেয়ের সঙ্গে মায়ের অনশন

জেলা প্রতিনিধি, মাগুরা জুন ৪, ২০২২, ০৯:৪৫ পিএম

মাগুরাঃ প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে এবার মাকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী। মাগুরা সদর উপজলার মঘী ইউনিয়নের আড়য়াকাদি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

এর আগে গত ২৩ মে ১৭ বছরের এই তরুণী প্রেমিকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবিতে ১২ ঘণ্টা অনশন করছিলেন। ওই সময় তিনি বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ছিলেন। তখন প্রেমিকের প্রতিবেশীদের পরামর্শে তিনি অভিভাবকের সঙ্গে বাড়ি চলে যান। 

কিন্তু কথা রাখেননি প্রেমিক ও তার পরিবার। বিয়ে করতে টালবাহানা করায় গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকা থেকে মাকে নিয়ে আবারও প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন তিনি। শনিবার (৪ জুন) সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত মা-মেয়ের অনশন চলছিল বলে জানা গেছে।

এদিকে, অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেমিক তাজনুর পরিবার বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। 

গত শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবেশীরা প্রেমিক তাজনুর বাড়ি ঘিরে ভির করছে। বিয়ের দাবি করা তরুণী তার মা মাকে নিয়ে প্রেমিক তাজনুর বাড়ির উঠানে চেয়ারে বসে আছেন। তাদের ঘিরে রয়েছে এলাকাবাসী। তবে প্রেমিক তাজনুর বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে তরুণীর সঙ্গে থাকা তার মা বলেন, আমি ঢাকায় গার্মেন্টসে সামান্য বেতনে চাকরি করি। এই মেয়ের বাবার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে অনেক আগে। তার বাবা অন্য নারীকে বিয়ে করেছে। তারপর থেকেই আমি তার বাবা ও মা দুটোই আমি। এই ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে আমি জানি। আমার মেয়েকে ছেলে বিয়ে করতে চায়, কিন্তু তার পরিবার রাজি না।

তিনি আরও বলেন, এর আগে আমার মেয়ে একা এসেছিল বিয়ের দাবিতে। এখন আমিও এসেছি। তারা তখন কথা দিয়েছিল অভিভাবক আনলে বিয়ে দেবে। তাই ছুটি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে এখানে এসেছি। মেয়ের বিয়ে না দিয়ে আমি এখান থেকে যাব না।

ওই তরুণী বলেন, ছেলে রাজি আছে বিয়ে করতে। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু তার বাবা-মা কেউ রাজি না। তারা আমাকে পছন্দ করে না।

ছেলের চাচা বাবুল হাসান অভিযাগ বলেন, ঘটনাটি লজ্জার। আমরা খুব বিপদে পড়েছি।

মঘী ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তারাব আলী মুঠোফানে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমাকে যদি ডাকে, তাহলে আমি সেখানে যাব।

মাগুরা সদর থানা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযাগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এসএস