মাধবপুরে অতি বষর্নে ভেঙ্গে গেছে সেতু, চরম ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

উপজেলা প্রতিনিধি, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) মে ২২, ২০২২, ১২:৩৭ পিএম

হবিগঞ্জঃ জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর-তেলিয়াপাড়া-মনতলা-ধর্মঘর আঞ্চলিক সড়কের কৃষ্ণপুর এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প কাঠের সেতু সাম্প্রতিককালে ভেঙ্গে পড়ায় দক্ষিন মাধবপুরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি এলাকা। এ কারনে এ আঞ্চলিক সড়কে এখন সরাসরি কোন যান চলাচল করতে পারছেনা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ধর্মঘর, চৌমুহনী ও বহরা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। সাধারণ মানুষ নির্মাণাধীন সেতু দিয়ে পায়ে হেটে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে।

যানবাহনের চালকরা জানান, প্রায় ২ বছর আগে কৃষ্ণপুর এলাকায় পুরাতন পাকা সেতু ভেঙ্গে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বিকল্প রাস্তায় চলাচলের জন্য কাঠের একটি বিকল্প ছোট সেতু তৈরি করা হয়। কিন্তু এটি দিয়ে শুধু তিন চাকার ছোট যানবাহন কোনরকম চলাচল করত। গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ ভারি বষর্ণে বিকল্প কাঠের সেতুটি পানির তোড়ে ভেসে যায়। এই সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই আঞ্চলিক সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন নিমার্ণাধীন সেতু দিয়ে সাধারণ মানুষ অতি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মনতলা বাজারের ব্যবসায়ী আলম খান জানান, তেলিয়াপাড়া-জগদীশপুর মনতলা-ধর্মঘর আঞ্চলিক সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ন এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জরুরী কাজে সাধারণ মানুষ আসা যাওয়া করে এবং স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও এ রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করে। প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে এ আঞ্চলিক সড়কে সরাসরি যোগযোগ বন্ধ রয়েছে।

বহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন জানান, বিকল্প সেতু বড় ও মজবুত  করে তৈরি করলে পানির ধাক্কায় সহজেই ভেসে যেত না। নামে মাত্র একটি বিকল্প কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। যা শুরুতেই ছিল নড়বড়ে। মূল ব্রিজ তৈরি করতে আরো অনেক সময় প্রয়োজন তাই অতি দ্রুত বিকল্প সেতু তৈরি করতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি ২১ শে মে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়াল থেকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে লিখেন, অচলাবস্থা থেকে এলাকাবাসী মুক্তি চায় জন দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে (মনতলা তেলিয়াপাড়া রাস্তার কৃষ্ণপুর ব্রীজ) আজ ৪/৫ দিন যাবৎ কর্তৃপক্ষের সকল স্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ ঠিকাদার কাউকে তোয়াক্কা করছে না ! কুঠির জোর নাকি শক্তি ! যথাযথ কর্তৃপক্ষ অসহায় জনসাধারণকে বিবেচনায় দ্রুত ব্যবস্থা হবে কি ?

মাধবপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ শাহআলম জানান, ভারি বর্ষনের কারনে বিকল্প সেতু ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দ্রুত বিকল্প সেতু তৈরি করতে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২/৩ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে বিকল্প সেতু দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

মোঃ এরশাদ আলী/এমএম