গণমাধ্যমের ওপর ক্ষুব্ধ রেলমন্ত্রীর শ্বশুরকূলের আত্মীয়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৯, ২০২২, ০৮:৪৪ এএম

পাবনাঃ বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণের আলোচিত ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের শ্বশুরকূলের আত্মীয়-স্বজনরা গণমাধ্যমের ওপর ক্ষুব্ধ।

রোববার (৮ মে) সসন্ধ্যায় এ ঘটনার মূল অভিযোগকারী ও রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মি আকতার মনির ভাগ্নে ইমরুল কায়েস প্রান্ত তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাতে এসে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বিষোদগার করতে থাকেন গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে গালমন্দ করতেও শুনা যায়।

এই ঘটনায় সাংবাদিকরা তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নবাণে আমি ও আমার পরিবার বিরক্ত ও বিব্রত। সাংবাদিকরা একটি সামান্য বিষয় নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়া করছে।' এ সময় তিনি সাংবাদিকদের ‘সরকারবিরোধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রান্ত বলেন, ‘আপনারা এই এ বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছেন, যেটা না করলেও পারতেন। আমি যা বলার, তদন্ত কমিটিকে বলেছি। আপনাদের সাথে আমার কোনো কথা নেই।’

গত ৫ মে রাতে পাবনার ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠে এসি কামরায় বসে ঢাকা আসছিলেন তিন যাত্রী। ভ্রাম্যমাণ টিকিট এক্সামিনার (টিটিই) শফিকুল ইসলাম তাদের কাছে টিকিট চাইলে তারা নিজেদের রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। পরে জরিমানাসহ টিকিট বানিয়ে তাদের সুলভ শ্রেণিতে পাঠান টিটিই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের একজন লিখিত অভিযোগ করেন টিটিই শফিকের বিরুদ্ধে। গাড়িতে ডিউটিরত অবস্থাতেই শফিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, পরদিন শুক্রবার কার্যকর হয়।

পরে জানা যায়, এই তিন যুবক রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর আত্মীয়। তাদের একজন ইমরুল কায়েস রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ভাগনে। রেলমন্ত্রী শনিবার তিন যাত্রীর কেউ আত্মীয় নন বলে দাবি করলেও রোববার জানান, তারা যে আত্মীয় সেটা তিনি জানতেন না। তার স্ত্রী তাকে না জানিয়েই টিটিইর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি ‍বিব্রত।

দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠা এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে টিটিই শফিকুল ইসলামের দোষ না পাওয়ায় তাকে স্বপদে বহাল করা হয়।

এমএম