নরসিংদীতে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৩, ২০২১, ০৯:৫২ এএম
ছবিঃ সংগৃহীত

নরসিংদীঃ জেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বামী ফকরুল ইসলামকে (২৬) আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। রোববার (১২ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলো- স্ত্রী রেশমি আক্তার (২৬) ও তাদের ১৩ মাস বয়সী শিশুপুত্র সালমান সাফায়ার। 

পুলিশ ও রেশমি আক্তারের স্বজনরা জানান, ৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার পারভেজ মিয়ার মেয়ে রেশমীর সঙ্গে ঘোড়াদিয়া সঙ্গীতা এলাকার মো. সাইফুল্লার ছেলে ফখরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন রেশমীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। এরই মধ্যে তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ হয়নি। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রেশমী ও তার সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত রেশমীর বাবা পারভেজ মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েটাকে নির্যাতন করতো। আমরা কষ্ট পাবো ভেবে মেয়ে আমাদেরকে কিছুই বলত না।

তিনি আরো জানান, ফখরুল মাদকাশক্ত ছিল। কিন্তু আমরা জানতাম না। এসব তথ্য আমাদের কাছ থেকে গোপন রেখে বিয়ে দিয়েছিল। এখন আমি আমার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চাই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, নিহত রেশমীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল, এমন বিষয় নিয়ে তার স্বামী তাকে সন্দেহ করতো। এরই জের ধরে ফখরুল মিয়া তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে। ফখরুলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে পরকীয়ার কারণে স্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল বলে নিশ্চিত করেছে।

আগামীনিউজ/বুরহান