সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা): তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও কৃষক শ্রমিক জনতালীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করছেন। তবে দলীয় প্রতীকে কোথাও বিএনপির প্রার্থী নেই।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে স্বতস্ফূর্তভাবে ভোটারদের ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
বেলকা ইউনিয়নের পঞ্চানন্দ আর ইউ দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরে ভোটার উপস্থিতি বেশি। তবে তারা বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থনে স্লোগান দিয়ে সাধারণ ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে চেষ্টা করছেন। অনেক কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। তবে কোথাও দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি।
প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। অন্তত অর্ধশত ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ১৫টিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে বেলকা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, এখন পর্যন্ত পরিবেশ ভালো রয়েছে। কোথাও কোনো ঝামেলা হয়নি। এ রকম পরিবেশে কোনো বাধা ছাড়া ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপে উপজেলার ১৩ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এতে ৮৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৯৯, সংরক্ষিত সদস্য ২১৮ ও সাধারণ সদস্যপদে ৫৫৯ জন। মোট ভোটার সংখ্য ৩ লাখ ১০ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৪৩ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬০ জন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য ১২৬ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৮৮২ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৭৮৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেকেন্দার আলী জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন এজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও ১৩জন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের নেতৃত্বে পুলিশের ২৬টি মোবাইল টিম এবং ৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। পাশাপাশি র্যাবের তিনটি টহল টিম এবং তিন প্লাটুন বিজিবি সদস্য মাঠে কাজ করছেন।
আগামীনিউজ/ হাসান